
পাটনা, ১৬ সেপ্টেম্বর: বজ্রপাত যেন বিহারের (Bihar) পিছু ছাড়ছে না। আগাম সতর্কতা সত্ত্বেও প্রাণহানি রোখা সম্ভব হল না। মঙ্গলবার বিহারের ১০ জেলায় বাজ পড়ে কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি সূত্রে খবর, বৈশালি জেলার রাঘবপুর ব্লকে বজ্রপাতে ৪ জন মারা গিয়েছেন। রোহতাস, ভোজপুর, গোপালগঞ্জ ও সারান জেলায় ২ জন করে মারা গিয়েছেন। পটনা, বেগুসরাই, আরারিয়া, সুপাউল, কাইমুর ও অন্য আর একটি জেলায় একজন করে বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত যে হতে পারে, তা নিয়ে আগাম সতর্ক করেছিল বিহারের আবহাওয়া দপ্তর। বাড়ির বাইরে বেরোলেও দুর্যোগের সময় লোকজনকে খোলা জায়গায় দাঁড়াতে নিষেধ করা হয়েছিল। তাতেও কিছু হল না।
বজ্রপাত নিয়ে বিহার সরকারের রিপোর্ট বলছে, ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে ৩৩০ জনেরও বেশি মানুষ বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে শুধু ২৪ জুন সরকারি হিসেবে ১০০ জন মারা গিয়েছেন। সরকারি আধিকারিকরা রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে জানিয়েছেন, দুর্যোগের সময় লেক, পুকুর, গাছাপালা থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। বিদ্যুতের ধাতব খুঁটি থেকেও দূরে থাকতে বলা হয়েছে। মেঝেতে শুতেও বারণ করা হয়। এমন বিরূপ আবহাওয়ার দিনগুলিতে খুব প্রয়োজন ছাড়া দুর্যোগ মাথায় নিয়ে লোকজনকে বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়াও বিহারের মধুবনী, কাটিহার ও গয়ায় বজ্রপাত ডিটেকশন কেন্দ্র তৈরি করেছে সরকার। সেখান থেকে লোকজনকে সতর্কও করা হচ্ছে। কিন্তু, বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকাতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার। চলতি বছর এ পর্যন্ত রেকর্ড সংখ্যক মানুষ প্রকৃতির রোষানলের শিকার। দুর্যোগ এখনও না কাটায়, রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। আরও পড়ুন-Tirupati Temple: প্রণামী বাক্সে জমেছে ৫০ কোটির বাতিল নোট, উদ্বিগ্ন তিরুপতি মন্দির কর্তৃপক্ষ
এদিকে একই দিনে উত্তরপ্রদেশে বজ্রপাতে মৃত্যু হল কমপক্ষে ১৩ জনের। ত্রাণ কমিশনার সঞ্জয় গোয়েল জানিয়েছেন গাজিপুরে চার জন মারা গিয়েছেন। কৌশাম্বিতে তিন জন। খুশিনগর ও চিত্রকূটে দু'জন করে মারা গিয়েছেন। জৌনপুর ও চন্দৌলিতে একজন করে মারা গিয়েছেন। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি সরকারি তরফে অর্থ সাহায্যও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।