মহানায়ক উত্তম কুমারের পরে সম্ভবত বাংলা সিনেমার অন্যতম সুপারস্টার হলেন প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি (Prosenjit Chatterjee)। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি যখন একেবারে পতনের মুখে সেই সময় তিনি এসেই হাল ধরেছিলেন। এককথায় টলিউডের পুনরুজ্জীবনের কৃতিত্ব প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জিকেই দেওয়া হয়। যখন বাংলা ছবির বাজার বলতে কিছুই ছিল না, সেই সময় প্রসেনজিতের সিনেমা মানুষকে হলমুখী করে। ভারতীয় সিনেমার ক্ষেত্রে তিনি কতটা শ্রদ্ধেয়, তা নিশ্চয় অনুমান করতে পারছেন। একটা নিষ্প্রাণ শিল্পের পুনরুজ্জীবন একেবারেই সহজ কাজ নয়। তবে প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলেন সচ্ছন্দেই। তবে এর অর্থ এই নয় যে বলিউড তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেনি। তবে অভিনেতা সেসময়ই একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে হিন্দি ছবিতে তাঁর আগ্রহ নেই। আরও পড়ুন-Gujarat Boy: মহাত্মা গান্ধীর বেশে করোনা টেস্ট করাতে এল বছর দশেকের খুদে, দেখুন ছবি
সেই সময় এবং বর্তমানেও বাংলা ছবির জগতে এক এবং অন্যতম অভিনেতা প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি। এবং এই ধারা তিনি বজায়ও রাখতে চান। তবে বলিউড যখন প্রসেনজিৎকে নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করে, তখন তিনি মু্ম্বই থেকে বেশকিছু ভালো ছবির অফারও পেয়েছিলেন। এই তালিকায় রয়েছে ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ সেই অফারের একটি। হ্যাঁ সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জিকেই ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’-র নায়ক হিসেবে প্রথম বাছা হয়। যদিও তিনি তা করেননি। এই প্রসঙ্গে ২০১৬-তে এক সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ বলেছিলেন, “আমি অফিশিয়ালি ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবির জন্য নির্বাচিত হয়েছিলাম। সলমন সেখানে ছিলেনও না। সেই সময় অভিনয় নিয়ে তিনি এতটাও সিরিয়াস ছিলেন না। বরং টেকনিক্যাল দিকে অনেক বেশি আগ্রহী। ‘অমর সঙ্গী’ সিনেমার একটি প্রিন্ট মুম্বইতে যায়। তা দেখেই আমাকে বলিউডে ডাকা হয়েছিল। সেই সময় ৬-৭ দিনের জন্য মুম্বইতে এসে অডিশনও দিয়েছিলাম। সৌভাগ্যবশত অথবা দুর্ভাগ্যবশত আমি ওই ছবিতে অভিনয় করিনি।”
আমরা সবাই জানি ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ সলমনের জন্য ঠিক কতটা। ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবিতে অভিনয় করে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন সলমন। সেই থেকে এখনও বলিউডে চালকের আসনে ভাইজান। একইভাবে অফার পেয়েও “সাজন” ছবিতে অভিনয় করতে চাননি প্রসেনজিৎ। এই ছবিও সলমনের অভিনয় জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।