এতদিনের আয়োজন, গোছগাছ শেষে এসেই গেল সেই দিন। ৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন টলিউডের টেলিপাড়ার হট অ্যান্ড হ্যাপনিং কাপল নীল ভট্টাচার্য ও তৃণা সাহা (Neel-Trina Wedding)। কৃষ্ণকলি ধারাবাহিকের নিখিল ও খড়কুটো-র গুনগুন এখন ভরসন্ধ্যায় বাঙালির ড্রয়িংরুমকে একেবারে মাতিয়ে রাখছে। সেই গুনগুন নিখিলের বিয়েতে টলিপাড়ার ভিড় উপচে পড়বে তা বলাই বাহুল্য। ডিজাইনার লাল বেনারসি, সবুজ পাড়ের ওড়না, সঙ্গে মানানসই স্বর্ণালঙ্কারে অভিনেত্রী তৃণা সাহাকে দারুণ লাগছিল। ধুতি পাঞ্জাবির সঙ্গে মাথায় টোপর পরেও বরবেশী নীল ভট্টাচার্যের উচ্ছাস কারও চোখ এড়ায়নি। মালাবদলের সময় নীলের বন্ধুরা তো তাঁকে কাঁধে তুলে দাঁড় করিয়ে দিলেন। তৃণার ভাইয়েরাও কম যান না, দিদির পিঁড়ি এতটই উঁচু করলেন যে হাত বাড়িয়ে বর বধুবেশী তৃণাকে আগলে রাখলেন। আরও পড়ুন-Farmers’ Protest: ‘আমরা জঙ্গি না’, কঙ্গনা রানাউতের কুশপুতুল পুড়িয়ে বিরোধিতায় সরব মৃত কৃষকদের পত্নীরা
পর্দায় গুনগুনের বিয়ে দেখে তৃণার আসন্ন বিয়ের প্রসঙ্গ প্রকাশ্যে আসে। এরপর মামার বাড়ির প্রথম আইবুড়ো ভাত থেকে অঙ্কুশ ঐন্দ্রিলার ফ্ল্যাটে গিয়ে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া। নীল তৃণা সবেতেই থেকেছেন মধ্যমণি। এদিন রিল লাইফের স্ত্রী গুনগুনের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন বাবিন মানে সৌজন্যও। সংবাদ মাধযমকে জানালেন, নীল তৃণার বিয়ে হলেও বাবিন গুনগুনের দাম্পত্যে তার কোনও ছাপ পড়বে না। আর নীল তৃণার সঙ্গে কৌশিকের বন্ধুত্বের সম্পর্কও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। নবদম্পতির শ্রীবৃদ্ধিও কামনা করেছেন এই সতীর্থ।
এদিন নীল নৌকাতে চেপে বিয়ে করতে আসেন। শুরু থেকেই ছিলেন খোশ মেজাজে। বরং কনের সাজে তৃণাকে অনেক বেশি লাজুক মনে হয়েছে। নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করতে বিয়ের আসরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁদের বিশেষ দিনে এমন একজনের আগমনে দুজনেই দারুণ উচ্ছসিত। ছাদনাতলায় যাওয়ার আগে হাসিমুখে একের পর এক পোজ দেন। নীল তৃণা দুজনেই অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বাকি জীবন ভালোবাসায় তাঁদের বেঁধে রাখার আবদারও করেন।