আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়(Photo Credit: PTI)

কলকাতা, ২৩ মে:  আসানসোলের(Asansol) আসনটি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও তাঁর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বি তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেন(Moon moon Sen)কে নিয়ে ভোটের অনেক আগে থেকেই বাজার সরগরম। বাবুলের হাত থেকে আসানসোল ছিনিয়ে নিতেই বাঁকুড়ার সাংসদ মুনমুন সেনকে নিয়ে আসেন মমতা। যেখানে গত বছরে ঘটে যাওয়া আসানসোলের রায়ট তৃণমূলের মাস্টার কি হতে পারত। কিন্তু মুনমুন সেনকে প্রার্থী করায় দলীয় সমর্থকরাই আর তৃণমূলের উপরে ভরসা রাখতে পারেননি। বাঁকুড়ায়( Bankura) কোনওরকম উন্নয়নের উদাহরণ নেই। পাঁচ বছরে সাংসদকে একবারও এলাকায় দেখা যায়নি। তাহলে কোনও ভরসায় মানুষ মুনমুন সেনকে ভোট দেবেন। হাতে থাকছে প্রচারের মাহাত্ম্য, কিন্তু সেখানেও শূন্যই পেয়েছেন মুনমুন। ভোটে জিততে মায়ের প্রতি বঙ্গবাসীর ভালবাসাকেই হাতিয়ার করেছেন। সুচিত্রা সেনের আত্মার শান্তির জন্য আসানসোলের বাসিন্দারা তৃণমূলে ভোট দিক। এমনটাই আশা ছিল মুনমুনের, যাইহোক মহানায়িকার ক্রেজ বাঙালির কাছে সবসময়ই সমান। এমতাবস্থায় একজন দলীয় প্রার্থী ভোটে জিততে বাঙালির আবেগকে ব্যবহার করছেন, উন্নয়নকে নয়। এটা সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। তাই সূর্য যতই মাথার উপরে উঠছে আসানসোলের জনসমর্থন জুড়ছে বাবুলের(Babul Supriyo) সঙ্গে, পিছিয়ে পড়ছেন মুনমুন।

এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁকে ভোট দিয়েছে, তাই বিজেপি এখন ৫৯ হাজারের লিডে রয়েছে। তৃণমূল রিগিং করে, বুথ দখল করে ভোট করেছে বিজেপির কর্মীদের ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেননি। একেবারে সততার সঙ্গে ভোট পেয়েছি।

তৃণমূলের মুনমুন সেন বাবুলের থেকে এতটাই পিছিয়ে আছেন যে মুখ খুলতেই চাইলেন না। গাড়িতে বসেই জানিয়ে দিলেন, এখনও অনেকটা সময় বাকি অপেক্ষা করুন। তবে কত ভোটে হারবেন বা জিতবেন তানিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি সুচিত্রা কন্যা।