কঙ্গনা ও সোনিয়া গান্ধী (Photo Credits: PTI, Instagram)

এবার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত । মহারাষ্ট্রে শিবসেনার  জোট সরকারের শরিক কংগ্রেস। বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফে কঙ্গনার অফিস (Kangana Ranaut Office) ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় নীরব ও উদাসীন থেকেছেন সোনিয়া গান্ধী। ইতিহাস এর বিচার করবে। এক টুইট বার্তায় কঙ্গনা লেখেন, “আপনি পশ্চিমে বড় হয়ে ভারতে বসবাস করছেন। আপনি নিশ্চয় মেয়েদের সংগ্রাম সম্পর্কে সচেতন। আইন শৃঙ্খলাকে ঠাট্টার পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে যখন আপনার সরকার এক মহিলাকে হেনস্তা করছে। সব জেনেও আপনি নীরব উদাসীন রয়েছে ইতিহাস এর বিচার করবে। আমি আশাকরি আপনি হস্তক্ষেপ করবেন।” আরও পড়ুন-Kangana Ranaut: কঙ্গনাকে Y+ ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দিয়েছেন অমিত শাহ, বিজেপিকে ধন্যবাদ জানিয়ে কী বললেন মা আশা রাউত?

সোনিয়া গান্ধীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কঙ্গনা রানাউত

তিনি আরও বলেন, “প্রিয় সম্মানীয় মাননীয়া কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীজি মহারাষ্ট্রে আপনার সরকার আমার সঙ্গে যে আচরণ করছে, তা দেখে একজন মহিলা হিসেবে আপনি বিরক্ত হননি? আপনার সরকার যাতে বাবাসাহেব আম্বেদকর রচিত সংবিধানের নীতিমালাকে অনুসরণ করে, তাঁর অনুরোধ করতে পারেন না?” প্রয়াত শিবসেনা সুপ্রিমো বালাসাহেব ঠাকরের উদাহরণ টেনে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা সরকারকে একহাত নেন কঙ্গনা। তিনি বলেন, “আমার অন্যতম প্রিয় আইকনদের একজন মহান বালাসাহেব ঠাকরে। তাঁর সবথেকে বড় ভয় ছিল শিবসেনা একদিন জোট করে কংগ্রেস হয়ে উঠবে। আমি জানতে চাই আজ তাঁর দলের এই দূরবস্থা দেখে তিনি কী অনুভব করছেন?” বৃহন্মুম্বই পুরসভা কঙ্গনার অফিসের একাংশ ভেঙে ফেলেছে। বৃহস্পতিবার রাতেই কঙ্গনা জানিয়েছেন ভাঙা অফিস সংস্কার করার টাকা তাঁর নেই। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, “চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারিতে আমরা অফিস উদ্বোধন হয়। এর কিছুদিনের মধ্যেই করোনাভাইরাসের প্রকোপ আমাদের উপরে এসে পড়ে। সেই সময় থেকে আমার হাতে কোনও কাজ নেই। তাই অফিস সংস্কারের টাকা নেই। আমি ওই ধ্বংসবশেষে থেকেই কাজ করব। অফিসের এই ধ্বংসাবশেষই একটি মেয়ের প্রতীক হে উঠবে, যে পৃথিবীতে মাথা উঁচু করার দুঃসাহস দেখিয়েছিল।”