Dil Bechara Movie Review: সুশান্তের শেষ ছবি 'দিল বেচারা', ঠিক যেন দগদগে ক্ষতয় সেরে ওঠার মলম
দিল বেচারা মুভি রিভিউ (File Photo)

২৪ জুলাই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ডিজনি প্লাস হট স্টারে মুক্তি পেয়েছে প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) শেষ ছবি 'দিল বেচারা' (Dil Bechara) । সুশান্তের শেষ ছবি নিয়ে কতজন ভালো খারাপের দরাদরি করেছেন তা সন্দেহের। আকস্মিক দুর্ঘটনা না ঘটলে দর্শকের ছবির অনেক কাটাছেঁড়া করার সুযোগ ছিল। কিন্তু ছবিটি একটা ট্রিবিউট হয়ে রয়ে গেল-যার কোনও ভালো খারাপ হয় না। অবশেষে সব কিজিদের ছেড়ে অন্তরীক্ষে চলে গেল ম্যানি। ছবিটার কোথাও যেন বাস্তবের সঙ্গে খুব মিল। শুধু মৃত্যুর কারণটা আলাদা।

ম্যানি, যার প্রাণবন্ত হাসি সুশান্তের মতোই সহজ, সরল। জীবনে কঠিন রোগের ব্যাধি নিয়ে বেঁচে থাকা কাকে বলে কিজিকে শিখিয়ে গেছে। ক্যান্সারের কারণে জীবন যতটা বেদনাদায়ক হোক কিংবা নেপোটিজম, বহিরাগতের ছুরির আঘাত বাঁচিয়ে নিজেকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়া, হাসিমুখে সমস্ত বাধা পার করা তাঁর থেকেই শিখতে হয়। রিল লাইফ ম্যানি হোক বা রিয়েল লাইফ সুশান্ত-বাস্তবে চরিত্রের ফারাকটা কমই। ৩৪ বছর বয়সী অভিনেতার বয়সের ছাপ ২৪ বছরের ছেলের মুখে খাপ না খেলেও, সুশান্তের অভিনয়ের কাছে তা ম্লান। সুশান্ত নিজেকে ভেঙে গুড়িয়ে দর্শকদের ১০ বছর পিছনে নিয়ে যেতে সক্ষম। ছবিতে মৃত্যু শুরু থেকে তাড়া করে বেড়াবে। ক্যান্সার সার্ভাইভারদের গল্প। জীবন আজ আছে তো কাল নেই; এরমধ্যেও এক একটি দিন বিশেষ করে তোলার প্রয়াস। দুই ক্যান্সার রোগীর প্রেমের জোয়ারে গা ভাসানোর মুহূর্তগুলো বড্ড তরতাজা। রোগের কাছে হেরে যাওয়ার আগে পর্যন্ত শেষ লড়াই করতে শিখিয়েছে ম্যানি। কিজির ভূমিকায় সঞ্জনা সঙ্ঘি অত্যন্ত স্বতঃস্ফূর্ত। শান্ত, সাধারণ ক্যান্সার সার্ভাইভার, স্বপ্ন নিয়ে বাঁচে। যা পূরণের জন্য হাত বাড়ায় ম্যানি। কিন্তু ম্যানি কি কিজির স্বপ্ন পূরণে সফল হবে? তা জানার জন্যই দেখতে হবে 'দিল বেচারা'। আরও পড়ুন, কয়েক ঘণ্টা পরই মুক্তি পাবে 'দিল বেচারা', সুশান্ত সিং রাজপুতের শেষ ছবি নিয়ে কী বললেন বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী?

ছবিতে কিজির মা-বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্বস্তিকা মুখার্জি ও শাশ্বত চ্যাটার্জি  মা-বাবার ভূমিকায় তাঁরা অত্যন্ত মানানসই। মা-মেয়ের ভালোবাসা, বন্ধন বন্ধুত্বের ঊর্ধ্বে। মমতা, বন্ধুত্ব, মাতৃসুলভ আচরণ সবটা মিলিয়ে স্বস্তিকার অভিনয় অনবদ্য। শাশ্বতও বাবার চরিত্রে মনে দাগ কেটেছেন। পরিচালনায় মুকেশ ছাবড়ার দক্ষতা আরেকটু বেশি কাম্য ছিল। ছবির গান ইতিমধ্যে হিট। এ আর রহমানের কম্পোজিশনে মিষ্টি সুরের বাঁধনে গান বেঁধেছেন। যা ছবিকে সত্যিই কমপ্লিমেন্ট করেছে। এই শেষবারের মত সুশান্তকে আমরা নতুন করে দেখলাম। তাঁর অনুপস্থিতি আপামর অনুরাগীদের সত্যিই কাঁদাবে।