জো বাইডেন ও কঙ্গনা রানাওত (Photo Credits: Twitter)

বলা হয় তিনি মুখ খুললেই বিতর্ক। অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওতের (Kangana Ranaut) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট জো বাইডেনকে নিয়ে করা মন্তব্যে নিন্দার ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আমেরিকার ৪৬-তম প্রেসিডেন্ট হলেন জো বাইডেন (Joe Biden)। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস (Kamala Harris)। এই প্রথম অ্যামেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূত। যেখানে সারা বিশ্ব ইতিবাচকভাবে স্বাগত জানাল, সেখানে বিতর্কিত মন্তব্য করতে ছাড়লেন না কঙ্গনা রানাওত। জো বাইডেনকে 'গজনী বাইডেন' বলে সম্বোধন কঙ্গনার।

কমলা হ্যারিসের বক্তৃতার ভিডিও শেয়ার করে তিনি টুইট করে জো বাইডেনের অসুস্থতা নিয়ে ট্রোল করে মন্তব্য করেন, 'গজনী বিডেনকে নিয়ে কোনও ভরসা নেই, প্রত্যেক ৫ মিনিটে ওঁনার ডেটা ক্রাশ হয়। তিনি এতদিন ধরে এত ওষুধ খেয়ে বেঁচে রয়েছেন, একবছরের বেশি বাঁচার আশা নেই, এরপর তো কমলা হ্যারিসই খেলা হাতে ধরবে। যখন একজন মহিলা জেগে উঠবেন, তিনি সকলকে জাগিয়ে তুলবেন। এই ঐতিহাসিক দিনটিকে স্বাগত।"

আরও পড়ুন, আমি এমন একজন প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যিনি ঐক্যবদ্ধ হতে চান: জো বাইডেন

এই মন্তব্যের পর কমেন্টে উঠেছে নিন্দার ঝড়। আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে অপমান করেছেন বলে মত নেটিজেনদের একাংশের।

আজ জয়ের পর জো বাইডেন বলেন, "আপনারা যারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁদের হতাশা আমি বুঝতে পেরেছি। এখন একে অপরকে সুযোগ দিন। এখন কঠোর বাকবিতণ্ডা দূরে সরিয়ে, উত্তেজনা কমিয়ে দেওয়ার, একে অপরকে আবার দেখার, একে অপরের কথা শোনার সময়।" বাইডেনের কথায়, "এই দেশের লোকেরা কথা বলেছেন, তাঁরা আমাদের সুস্পষ্ট বিজয় দিয়েছেন। জনগণের পক্ষে একটি বিজয়। আমরা দেশের ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে জিতেছি, ,৭৪ মিলিয়ন।"

অন্যদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট কমলা হ্যারিস বলেন, "আমাদের গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য সংগ্রামের প্রয়োজন, ত্যাগের দরকার। কিন্তু এতে আনন্দ ও অগ্রগতি রয়েছে। কারণ আমাদের আরও ভালো ভবিষ্যত গড়ার ক্ষমতা রয়েছে। যখন ব্যালট গোনা হচ্ছিল, অ্যামেরিকার ভবিষ্যত ঝুঁকিতে ছিল এবং সারা বিশ্ব নজর রাখছিল, তখন আপনারা একটি নতুন দিনের সূচনা করেছিলেন।"