Iraqi Refugee Salwan Momika (Photo Credit: X/Screengrab)

দিল্লি, ৩০ জানুয়ারি: ২০২৩ সালে সালওয়ান মোমিকার (Salwan Momika) নাম উঠে আসে খবরের শিরোনামে। ২০২৩ সালে ইরাকি শরণার্থী সালওয়ান মোমিকা যখন একের পর একভাবে কোরান (Quran) পোড়াতে শুরু করেন, তা নিয়ে বিশ্ব জুড়ে তোলপাড় হয়ে যায়। ওই ঘটনার এক বছরের মধ্যে এবার ইরাকি শরণার্থী সালওয়াল মোমিকাকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। সুইডেনের (Sweden) স্টকহোমের কাছে একটি বাড়িতে থাকতেন সালওয়ান মোমিকা। সেখানেই তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

আরও পড়ুন: Iraqi Refugee Salwan Momika Shot Dead: কোরান পোড়ানোর অভিযোগ, সুইডেনের বাড়িতে গুলিতে ঝাঁঝরা করা হল ইরাকি শরণার্থী সলওয়াল মোমিকাকে, ভয়াবহ ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ল

২০২৩ সালে সালওয়ান মোমিকা যখন একাধিকবার কোরান পোড়াতে শুরু করেন, বিশ্বজুড়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। সুইডেনে থেকে সালওয়াল মোমিকা বলেন, কোরান পুড়িয়ে তাঁর এই প্রতিবাদ ইসলামের বিরুদ্ধে। মুসলিম মানুষের বিরুদ্ধে নয়। কোরানে যা লেখা রয়েছে, তা থেকে সুইডেনের মানুষকে রক্ষা করতেই তিনি ধর্মগ্রন্থ পুড়িয়েছেন বলে মন্তব্য করেন সালওয়ান মোমিকা। ওই সময় সালওয়ান মোমিকার প্রতিবাদকে সমর্থন করে সুইডেন পুলিশ। তাঁকে কোনওভাবে গ্রেফতার করা হয়নি সুইজেনের পুলিশের তরফে। তবে সুইডেনের আদালতের তরফে সালওয়ান মোমিকার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়। সালওয়ান মোমিকা যে ধরনের কাজ করেছেন,তার জেরে সালওয়ানকে যাতে সুইডেন থেকে বের করে দেওয়া হয়, সে বিষয়ে নির্দেশ দেয় আদালত।

যদিও ইরাকে ফিরকে মোমিকাকে প্রাণে মেরে ফেলা হতে পারে, সেই আশঙ্কা থেকে সুইডেন থেকে বের করা হয়নি মোমিকাকে। ফলে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত সালওয়ান মোমিকা সুইডেনে থাকতে পারবেন বলে সাময়িক রেসিডেন্স পারমিট দেওয়া হয় তাঁকে।

ইরাকের নিনেভে প্রদেশে জন্ম এবং সেখানেই বেড়ে ওঠেন সালওয়ান মোমিকা। তবে এক ক্যাথোলিক পরিবারে বেড়ে ওঠেন সালওয়ান। ২০০৬ থেকে ২০০৮ সালে যখন ইরাকে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়, সেই সময় মোমিকা মসুল হেডকোয়ার্টারে ছিলেন এবং প্রধান নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।

এরপর ২০১৪ সালে আইসিসের হাতে ধরা পড়েন মোমিকা। ইরাককে যাতে ইসলামিক স্টেটে পরিণত করা না যায়, তার জন্য যাঁরা আন্দোলন করচিলেন ওই সময়, মোমিকা ছিলেন তাঁদের একজন। ফলে আইসিসের হাতে মসুল থেকেই ধরা পড়েন মোমিকা। এরপর ২০১৭ সালে মোমিকা ইরাক থেকে জার্মানিতে পালিয়ে যান। এরপর ২০১৮ সালে সুইডেনে অ্যাসাইলামে আশ্রয় পান মোমিকা কোনওক্রমে। ওই সময় থেকেই তাঁকে ইরাকি শরণার্থী হিসেবে অ্যাসাইলামের অন্তর্ভুক্ত করে সুইডেন।

২০২১ সালের এপ্রিলে তিনি কিছুদিনের জন্য সুইডেনে রেসিডেন্স পারমিট পান। যা ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। এরপর মোমিকা সুইডেনের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। তবে তা খারিজ হয়ে যায় একাধিক কারণে। সুইডেনে পাকাপাকিভাবে বসবাসের জবন্য সালওয়ান মোমিকা যখন চেষ্টা করছেন, সেই সময় তাঁর বাড়িতে ঢুকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়।