
দিল্লি, ১৩ মে: পাকিস্তানের কিরানা হিলস (Kirana Hills) বা কিরানা পর্বত নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অপারেশন সিদূঁর (Operation Sindoor) যখন শুরু হয়, সেই সময় ভারতীয় সেনা (Indian Army) কি কিরানা হিলসে আঘাত করেছে, এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও সোমবারের সাংবাদিক স ম্মেলনে এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, ভারতের তরফে কিনারা হিলসে কোনও আঘাত করা হয়নি। অর্থাৎ অপারেশন সিদূঁরে কিরানা হিলসে কোনও আঘাত করেনি ভারতীয় সেনা। এমনকী কিরানা হিলস কোথায় এবং সেখানে যে ইসলামাবাদ (Pakistan) পরমাণু শক্তিকেন্দ্র তৈরি করে রেখেছে, সেই খবর সাংবাদিকরা তাঁদের দিয়ে ভাল কাজ করেছেন বলেও বক্তব্য শোনা যায় এয়ার মার্শালের মুখে।
কী এই কিরানা হিলস এবং কোথায় অবস্থিত?
পাকিস্তানের সরগোডা জেলায় অবস্থিত কিরানা হিলস। যা সুউচ্চ পর্বতমালায় ঘেরা। অর্থাৎ উঁচু উঁচু পাহাড় রয়েছে সরগোডা জেলার এই কিরানা হিলসে। পাক সেনা বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছে এই কিরানা হিলস। স্থানীয়রা এই কিরানা হিলসকে 'ব্ল্যাক মাউন্টেন' বা 'কালো পাহাড়' বলেও ডাকেন বলে খবর। এই কিরানা হিলসে পাক সেনার মুসাফ বায়ুসেনা ঘাঁটি রয়েছে বলে খবর।
রিপোর্টে প্রকাশ, মুসাফ বায়ুসেনা ঘাঁটিতে এর আগেও ভারত আঘাত করেছে বলে খবর। এই মুসাফ বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকেই এফ-১৬, জেএফ-১৬ উড়তে দেখা যায়।
জানা যায়, কিরানা হিলসে রয়েছে পাক সেনার একাধিক গুরুপূর্ণ বিমান ঘাঁটি। যার মধ্যে অন্যতম সারগোডা ঘাঁটি। জানা যায়, কুসাব পরমাণু কেন্দ্র থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাক সেনার সরগোডা বিমান ঘাঁটি। ফলে সরগোডা বিমান ঘাঁটিকে সব সময় ঘিরে থাকে পাক সেনা। এই অঞ্চলকে কড়া নিরাপত্তার মোড়কে রাখে পাকিস্তানি সেনা।
২০২৩ সালে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে পাকিস্তান কিরানা হিলসে একাধিক পরমাণু পরীক্ষা করে এবং সেখানে কুসাব পরমাণু কেন্দ্র তৈরি করে। কুসাব পরমাণু কেন্দ্রে একাধিক আন্ডারগ্রাউন্ড ঘাঁটি রয়েছে সেনার। ফলে কড়া নিরাপত্তায় মোড়া থাকে কিরানা হিলস। যেখানে ,সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ। পাশাপাশি চিন থেকে যে ক্ষপনাস্ত্রগুলি পাকিস্তান নিয়ে আসে, সেগুলিকেও কিরানা হিলসের কোথাও তারা রাখে।
কিরানা হিলস নিয়ে কেন এত আলোচনা হচ্ছে?
রিপোর্টে প্রকাশ, কিরানা হিলসে বেশ কিছু বাড়ি, ঘর চোখে পড়ে। কিবন্তু ওই বাড়ি, ঘরগুলি সব পরমাণু কেন্দ্রের সঙ্গে জড়িত।