Terror Threat to the 2024 Paris Olympics (Photo Credit: X)

নয়াদিল্লি: ফ্রান্সে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর প্যারিস অলিম্পিক (Paris Olympics 2024)। আগামীকাল অর্থাৎ ২৬ জুলাই থেকে অলিম্পিক শুরু, চলার কথা ১১ আগস্ট পর্যন্ত। এরই মধ্যে প্যারিস অলিম্পিকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকি। ফ্রান্সে সম্প্রতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এরপর থেকে ফ্রান্সে নতুন সরকার গঠন নিয়ে বিতর্ক চলছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তোলপাড়। সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় কে কখন সরকার গঠন করবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, অলিম্পিক শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশে নতুন সরকার গঠন করা হবে না। এই পরিস্থিতিতে সরকার পরিবর্তন করলে সমস্যা তৈরি হবে। ম্যাক্রোঁ প্যারিস অলিম্পিক শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন সরকার গঠন করা হবে না বলে ঘোষণা করেছেন। এদিকে অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল।

ফ্রান্সে রাজনৈতিক অস্থিরতা কেন?

ফ্রান্সে সম্প্রতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ৫৭৭টি আসনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বামপন্থী নিউ পপুলার ফ্রন্ট এক নম্বরে ছিল। ফ্রান্সে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ২৮৯টি আসন জিততে হবে। নির্বাচনে বামপন্থী দল ১৮২টি আসন জিতেছে, যেখানে ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থী জোট ১৬৮টি আসন এবং লেপেনের দল ১৪৩টি আসন জিতেছে। ফ্রান্সের সংবিধান অনুযায়ী, ঝুলন্ত নির্বাচনের ফলাফল সত্ত্বেও অন্তত এক বছরের জন্য নির্বাচন করা যাবে না। এমন পরিস্থিতিতে নতুন সরকার নিয়ে ফ্রান্সের রাজনীতিবিদদের মধ্যে চলছে লড়াই।

নিরাপত্তাহীনতার মধ্যেই অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হবে?

সম্প্রতি প্যারিস অলিম্পিকের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, হামাস সন্ত্রাসীরা অলিম্পিকে হামলার হুমকি দিয়েছে। হামাসের একটি ভিডিও প্রকাশের পর থেকে। ভিডিওতে বলা হয় অলিম্পিকে রক্তের নদী বয়ে যাবে।

দেখুন ভিডিও

যদিও এই ভিডিওটি মিথ্যে হুমকি বলে প্রমাণিত হয়েছে, তবে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন এখনও রয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর কনসার্ট হলে হামলার কারণে ফ্রান্সের মানুষ আতঙ্কিত।

অলিম্পিকে অংশ নেবে ১০৫০০ অ্যাথলেট, দেখতে আসবেন সারা বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ। প্যারিস অলিম্পিকে বিশ্বের ২০৬টি দেশের ১০৫০০ ক্রীড়াবিদ অংশগ্রহণ করবেন। প্যারিস অলিম্পিকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে সূত্রে খবর। মোতায়েন করা হয়েছে ৪৫ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য, ১৮ হাজার সেনা সদস্য, এ ছাড়া ২০ থেকে ২২ হাজার বেসরকারি নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ করা হচ্ছে।

ম্যাক্রোঁ কী বললেন?

নিরাপত্তার বিষয়ে ম্যাক্রোঁ বলেন, সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে। রাস্তায় ব্যারিকেড বসানো হয়েছে, কিউআর কোডের মাধ্যমে লোকেদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। অলিম্পিক গেমস শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফরাসি রাজনীতিতে কিছুই পরিবর্তন হবে না। অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ হবে না।