Aftermath of The Destructive Impact of 2000 Pound Bombs. (Photo Credits: X)

বেইরুট, ২৯ সেপ্টেম্বর: ইজরায়েলকে বিশ্ব মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার ডাক দিয়েছিলেন লেবাননের হিজবুল্লা সংগঠনের প্রধান হাসান নাসরুল্লা। সেই লক্ষ্য গত কয়েকদিন ধরে লেবানন থেকে ইজরায়েলে মিসাইল ছুঁড়ছিল হিজবুল্লা। আর তার প্রতিশোধ নিতে লেবাননে ঢুকে নাসারুল্লা-কে বোমারু বিমান হানায় খতম করল ইজরায়েল। কয়েকশো কোটি টাকার সংগঠন হিজবুল্লা-র প্রধান নেতার নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার জন্য সব ব্যবস্থাই করা ছিল। বেইরুটের এক গোপন জায়গায় বাঙ্কারের ভিতর থেকে ইজরায়েলে হামলার ছক কষছিলেন নাসারুল্লা। কিন্তু গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের থেকে খবর পেয়ে লেবাননে ঢুকে ২ হাজার পাউন্ডের এক লহমায় বড় বাঙ্কার বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এমন বোমা ছোঁড়া হয় ইজরায়েলের বায়ুসেনার বিমান থেকে। ওই জায়গায় পরপর ঠিক তিনটি ২ হাজার পাউন্ডের বিস্ফোরক ছোঁড়া হয়েছিল বিমান থেকে। তার মধ্যে একটি সরাসরি আঘাত হানে যে বাঙ্কারে বসেছিলেন নাসারুল্লা।

বোমটি মাটিতে পড়ার ঠিক পরেই পুরো জায়গা জুড়ে এত বড়মাপের বিস্ফোরণ হয় যে তাতে কারও বাঁচার সম্ভাবনা ছিল না। সেই বিস্ফোরণে ঘণ্টা দুয়েক পর হিজবুল্লা-র সদস্যরা চোখ জল নিয়ে উদ্ধার রে নাসারুল্লা-র দেহাবশেষ। নাসারুল্লার উত্তরসূরি হিসেবে যাকে ধরা হচ্ছিল, হিজবুল্লা-র সেই শীর্ষ নেতা হাসান খালিল ইয়াসিন অন্য একটি বোমার আঘাতে প্রাণ হারান। হিজবুল্লার প্রথম সারির বেশ কয়েকজন শীর্ষনেতাই প্রাণ হারিয়েছেন। যে গতিতে ইজরায়েলের বায়ুসেনা লেবাননে আঘাত করছে, তাতে এভাবে চললে আগামী ৫-১০ বছর হিজবুল্লার পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো অসম্ভব হতে পারে।

নাসারুল্লাকে লক্ষ্য করে ছোঁড়ার বোমার পর সেখানকার অবস্থা

এদিকে, হামাসের পর হিজবুল্লার দুর্দশা দেখে মাথাচাড়া দিয়েছেন ইয়েমেনের হাউথি জঙ্গি গোষ্ঠী। গতকাল, শনিবার রাতে ইজরায়েলের রাজধানী তেল আভিভ লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুঁড়েছিল ইয়েমেনের এই জঙ্গি গোষ্ঠী। তবে ইজরায়েলের ডিফেন্স সিস্টেম হাউথিদের সেই আক্রমণ প্রতিহত করে। তা না হলে, ইজরায়েলের অন্তত ৫০০ জন এই হামলায় প্রাণ হারাতে পারতেন।