Unisex Toilets (Photo Credits: Pixabay)

লিঙ্গ-নিরপেক্ষ টয়লেট বা 'ইউনিসেক্স টয়লেট'-এর (Unisex Toilets) উপর নিষেধাজ্ঞা বসাল ইংল্যান্ড। সদ্য সে দেশের সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এখন থেকে ইংল্যান্ডের প্রতিটি রেস্তোরাঁ, বার, পাবলিক টয়লেট, শপিংমল কিংবা অফিস সমস্ত জায়গাতেই নারী এবং পুরুষদের জন্যে আলাদা করে শৌচালয় গড়তে হবে।

ইংল্যান্ডে চর্চিত লিঙ্গ-নিরপেক্ষ টয়লেট আইন (Unisex Toilet Law) অনুসারে, মহিলা, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা লিঙ্গ-নিরপেক্ষ শৌচালয়ে নিজেদের গোপনীয়তা হারাচ্ছে। তাই এখন থেকে ইংল্যান্ডে গড়ে ওঠে সমস্ত নতুন ভবনে নারী এবং পুরুষদের জন্যে আলাদা করে শৌচাগার বানাতে হবে। যাতে লিঙ্গ নিরপেক্ষভাবে সকলের গোপনীয়তা বজায় থাকে। তবে হোম, হেফাজতে ব্যবহৃত সেল, স্কুল, বৃদ্ধাশ্রমের জন্যে ব্যবহৃত ভবনগুলির ক্ষেত্রে এই আইন কার্যকর হবে না।

লিঙ্গ-নিরপেক্ষ টয়লেটের প্রয়োজনীয়তা এবং অপ্রয়োজনীয়তা ঘিরে সম্প্রতি ব্রিটিশ সরকারের তরফে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। ১৭,০০০ জন্যের উপর করা সমীক্ষার প্রতিক্রিয়ায় দেখা গিয়েছে, ৮১ শতাংশ প্রথক টয়লেটের পক্ষে মত জানিয়েছে। অন্যদিকে ৮২ শতাংশ লিঙ্গ-নিরপেক্ষ টয়লেটের (Unisex Toilet) পক্ষে সায় দিয়েছে। এছাড়া ট্রান্সজেন্ডার বা তৃতীয়লিঙ্গের গোষ্ঠী 'ইউনিসেক্স টয়লেট' রক্ষার দাবি জানাচ্ছে। তাদের যুক্তি, লিঙ্গ-নিরপেক্ষ শৌচাগারগুলি বৈষম্যের হাত থেকে তাঁদের রক্ষা করতে পারবে। শৌচালয় নারী কিংবা পুরুষ দুইভাগে বিভক্ত হলে তৃতীয়লঙ্গের ব্যক্তিরা প্রবেশের ক্ষেত্রে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন বলে আশঙ্কা।

সরকারের পর্যবেক্ষন, লিঙ্গ-নিরপেক্ষ টয়লেটের সংখ্যা যে হারে বেড়েছে তাতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে গোপনীয়তা ভঙ্গ হচ্ছে। তাই আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ইংল্যান্ড সরকার লিঙ্গ-নিরপেক্ষ টয়লেট আইনটি সংসদে পেশ করতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। যদি সংসদে এই আইন অনুমোদিত হয় তাহলে এই বছরের শেষের দিকেই তা কার্যকর হবে বলেই আশা রাখছে সরকারপক্ষ। এই আইনে এও বলা হয়েছে, যে সমস্ত ক্ষেত্রে নারী এবং পুরুষদের জন্যে পৃথক শৌচাগার বানানোর জন্যে পর্যাপ্ত জায়গা নেই সে ক্ষেত্রে বানানো হবে সর্বজনীন শৌচালয় বা ইউনিভার্সাল টয়লেট।