হামলা আর পালটা হামলা, ক্রমশ আরও উত্তপ্ত হচ্ছে ইজরাইয়েল (Israel) এবং প্যালেস্তাইনের পরিস্থিতি। রবিবার ইজরায়েলের রাজধানী তেল আভিভের (Tel Aviv) উপর মিসাইল হামলা চালিয়েছিল হামাস বাহিনী। গত চার মাসে এই প্রথম ইজরায়েলে এইভাবে মিসাইল নিক্ষেপ করেছে হামাস। তেল আভিভের জনবহুল এলাকায় ওই মিসাইল আছড়ে পড়ায় কয়েক জন ইজরায়েলির আহত হওয়ার খবর মিলেছিল। এই হামলার ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই পালটা দিল ইজরায়েল (Israel)। রবিবার রাতেই দক্ষিণ গাজার রাফায় মিসাইল হামলা চালায় ইজরাইয়েল সেনা। প্যালেস্তাইনের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, তেল আভিভের জবাবি হামলায় অনন্তপক্ষে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বহু। এক্স হ্যান্ডেল থেকে হামলার কথা স্বীকার করে নিয়েছে আইডিএফ (IDF)। জানানো হয়, গাজায় হামাসের বসতি এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছিল। যদিও প্যালেস্তাইনের দাবি, বসতি এলাকা নয় বরং গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিনে রাফার শরণার্থী শিবিরের উপর ওই মিসাইল নিক্ষেপ করেছিল ইজরায়েল সেনাবাহিনী। গাজা উপত্যকার শরণার্থী শিবিরে ইজরায়েলি হামলার পর ইস্তানবুলে রাতারাতি ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা ইস্তানবুলে ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ শুরু করে। ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারিরা আগুন জ্বালিয়ে দেয় ইস্তানবুলের ইজরায়েলি দূতাবাসে। গাজার শরণার্থী শিবিরে তুর্কি বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদের স্বরূপ উঠে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ইস্তানবুলে বিক্ষোভ...
BREAKING 🚨🚨PROTESTERS BURN DOWN THE ISRAELI CONSULATE IN ISTANBUL 🇹🇷
— Dr. Anastasia Maria Loupis (@DrLoupis) May 27, 2024
রাফায় মিসাইল হামলায় হামাসের চিফ অফ স্টাফ নিকেশ হয়েছিল বলে জানানো হয় ইজরায়েল সেনার তরফে। ইজরায়েলি হামলার পালটা আক্রমণের ডাক দিয়েছে হামাস জঙ্গি সংগঠনও। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, শরণার্থী শিবিরে ইজরায়েল মিসাইল হামলায় মৃত ৩৫ জনের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু এবং নারী। ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝ বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশকে ক্রমাগত অস্ত্র এবং অর্থ দিয়ে সাহায্য করার জন্যে আমেরিকাকে দায়ী করে আসছে বিশ্বমঞ্চ। গত বছর অক্টোবরে ইজরায়েলের উপর প্রথম হামলা চালায় হামাস বাহিনী। এরপরেই পালটা যুদ্ধ ঘোষণা করে নেতানিয়াহু। প্রায় সাত মাস ধরে চলতে থাকা যুদ্ধে ইজরায়েলের হামলায় গাজায় অন্তত ৩৬ হাজার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।