Narendra Modi, Donald Trump (Photo Credit: File Photo)

Trump-Modi: কটা দিন ভারতের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে অঘোষিত যুদ্ধ ঘোষণা, একের পর এক বাক্যবাণের বিদ্ধ করা পর এবার কি আপোষের পথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প? এদিন হোয়াইটহাউসে বসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে এখন যে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর বেশ কিছু কাজ পছন্দ করছেন না সে কথাও জানালেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বললেন, "আমি সব সময় প্রধানমন্ত্রী মোদীর বন্ধু থাকবো। উনি দারুণ প্রধানমন্ত্রী। উনি দারুণ। কিন্তু উনি এখন যা করছেন তার আমি পছন্দ করছি না। ভারত-আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দারুণ আছে। এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। মাঝে মাঝে শুধু কিছু মুহূর্ত আসে, যখন সব কিছুই কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যায়।"

ট্রাম্প কি পিছু হটলেন? নাকি করবেন আরও বড় আঘাত

রাশিয়ার থেকেই তেল কিনবো, ভারতের বিদেশমন্ত্রক সরাসরি আবারও এমন কথা ঘোষণার পর ট্রাম্প কি পিছু হটছেন? তিয়ানজিনে এসসিও-র বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বন্ধুত্বকে এক ফ্রেমে দেখে তাহলে কি ট্রাম্প উদ্বিগ্ন?

 প্রধানমন্ত্রী মোদী ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কী বললেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

 

ট্রাম্পকে সরাসরি কোনও জবাব দেননি মোদী

গতকালই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লিখেছিলেন,"মনে হচ্ছে, আমরা ভারত আর রাশিয়াকে গভীরতম, অন্ধকারতম চিনে হারিয়ে ফেলেছি। ওদের ভবিষ্যৎ দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ হোক, এই কামনা করি।"তবে ট্রাম্প বারবার ভারতকে তোপ দাগলেও গত কয়েক মাস একবারও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নাম মুখে নেননি প্রধানমন্ত্রী মোদী। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ তিনি বাণিজ্য চুক্তির ভয় দেখিয়ে থামিয়েছেন। ট্রাম্প বারবার এই দাবি করলেও মোদী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জবাব দেননি।

ভারতের আইটি সেক্টরকে বড় ধাক্কা দিতে চলেছেন ট্রাম্প

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রশংসা করলেও ভারতের তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্র বা আইটি সেক্টরে বড় ধাক্কা দিতে চলেছেন ট্রাম্প। বিভিন্ন মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি এমন একটি প্রস্তাব বিবেচনা করছেন, যার ফলে মার্কিন আইটি বা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলিকে ভারতসহ বিদেশে চাকরি আউটসোর্সিং বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। মানে মার্কিন কোম্পানিকেগুলিকে আর ভারত বা বিদেশি কর্মীদের দিয়ে বাইরে থেকে কাজ করানো বন্ধ করা হবে। ট্রাম্পের "আমেরিকা ফার্স্ট" নীতি কার্যকরের জন্য আউটসোর্স বন্ধ করতে পারে মার্কিন প্রশাসন। এর মূল লক্ষ্য, আউটসোর্সিং বন্ধ করে আমেরিকায় চাকরির আরও বেসি করে সুযোগ তৈরি করা। ট্রাম্পের এই প্রস্তাবটি সরাসরি ভারতের আইটি সেক্টরে সরাসরি আঘাত হানতে পারে। ভারত দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বব্যাপী বিশেষ করে আমেরিকায় আউটসোর্সিংয়ের অন্যতম কেন্দ্র।

দেখুন খবরটি

ট্রাম্প প্রশাসনের নয়া তথ্য-প্রযুক্তি নীতি কার্যকর হলে ভারতের আইটি খাতে লক্ষ লক্ষ চাকরি ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। তবে শুধু ভারত নয়, এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলিও বড় ধাক্কা খাবে। গুগল, মাইক্রোসফট, আইবিএম-এর মতো প্রথম সারির মার্কিন কোম্পানিগুলি তাদের খরচ কমানোর জন্য ভারতীয় আউটসোর্সিংয়ের ওপর নির্ভরশীল।