দফায় দফায় গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল। সাধারণ মানুষদেরও ছাড়ছে না ইজরায়েলি সেনা। এদিন মধ্য গাাজার নুসেইরতের একটি রিফিউজি ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনা। আর তাতে কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন গাজার মেয়র ইয়াদ আল-মুঘারি (Iyad al-Mughari)। এছাড়া এই হামলায় বেশ কয়েকজন নিরীহ যুবকেরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দিন কয়েক আগে ইজরায়েলি সেনা ক্ষেপনাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছিল নুসেইরতের একটি স্কুলে। সেই হামলা ৩০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। যাদের মধ্যে কয়েকজন শিশু ছিল বলে জানা গিয়েছে।
এই স্কুলটি রাষ্ট্রপুঞ্জের আর্থিক সহায়তায় চলছিল বলে জানা গিয়েছে। আর বৃহস্পতিবার ভোরে যখন হামলা চালানো হয়েছিল তখন স্কুলে কয়েকজন পড়ুয়া ও শিক্ষক ছিলেন। যদিও এই হামলার পর নেতানিয়াহু সরকার দাবি করে যে স্কুলটি নাকি হামাস জঙ্গিদের আস্তানা ছিল। যেহেতু স্কুলে কখনই কেউ হামলা চালাতে পারে না, সেহেতু এটিকে নিরাপদ ঘাঁটি বলে ভেবে নিয়েছিল আতঙ্কবাদীরা যদিও এই বক্তব্য যুক্তিহীন বলে দাবি করেছে প্যালিস্তাইন।
The Palestinian Mayor of central Gaza's Nuseirat refugee camp, Iyad al-Mughari, was killed in an Israeli airstrike, Palestinian medical and security sources have said. pic.twitter.com/x7hUqoV78X
— IANS (@ians_india) June 7, 2024
এদিকে এখনও পর্যস্ত ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ৩৬ হাজারের বেশি মানুষে। যাদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই ১৫ হাজারের মতো। আহত হয়েছেন ১ লক্ষের বেশি মানুষ। অন্যদিকে ৬৫৮ জন ইজরায়েলি সেনারও মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে ইজরায়েন জঙ্গি ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করে সাধারণ মানুষরা যেখানে আশ্রয় নিয়েছে সেই এলাকাগুলিতে হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ।