Photo Credits: FB

দীর্ঘ টালবাহানা-প্রতীক্ষার পর অবশেষে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল সরকারীভাবে ঘোষিত হল। বৃহস্পতিবার রাত থেকে গণনা শুরু হয়েছিল অনেক নাটকের পর রবিবার সন্ধ্যায় পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন পাকিস্তানের ন্যাশনল অ্যাসম্বলির ২৬৫টি-র মধ্যে ২৬৪টি আসনের ফলাফল সরকারীভাবে প্রকাশ করল। সরকারীভাবে ঘোষিত ফলে দেখা যাচ্ছে ইমরান খানের দল পিটিআই নিজেদের প্রতীকে দাঁড়ানোর সুযোগ না পেলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হল। ইমরানের পিটিআইয়ের সমর্থিত প্রার্থীরা জিতলেন ৯৩টি আসনে, নওয়াজ শরিফের পিএমএলএন পেল ৭৪টি, বিলওয়াল ভুট্টোর পিপিপি জিতেছে ৫১টি ও এমকিউ-পি জয়ী হয়েছে ১৫টি আসনে।

সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও সরকার গড়ার বিষয়ে ইমরান খান পিছিয়ে আছেন। কারণ তাঁর দলের হাতে ম্যাজিক ফিগার নেই। জেলবন্দি ইমরানকে ঠেকাতে জোট বাঁধছেন নওয়াজ শরিফ ও বিলওয়াল ভুট্টো। শরিফদের সমর্থনে এগিয়ে আসছেন বেশ কয়েকজন নির্দল ও ছোট দলের জয়ী প্রার্থীরা। তবে নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হলে, বিলওয়াল ভুট্টোর বেঁকে বসতে পারে। আরও পড়ুন-ফের ভূমিকম্প জাপানে, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৪.৭

ইমরান খানের দলের সমর্থকরা নির্বাচনের গণনাকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের মতে যারা ভোট দিলেন তারা কোনও ফ্যাক্টর হলেন না, যারা ভোট গুলেন তারাই আসল ফ্যাক্টর হলেন। ইমরান সমর্থকদের অভিযোগ, ঠিকমত ভোট গণনা হলে পিটিআইয়ের সমর্থিত প্রার্থীরা অন্তত দুশো আসনে জিততেন বলে তাদের দাবি। পাক নির্বাচনে অস্বচ্ছতার প্রমাণ নিয়ে সেখানকার আদালতে অন্তত হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে। করাচিতে ইমরানের দলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বড় ঝামেলা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলি পাকিস্তানের নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করতে পারে।