Sushila Karki (Photo Credit: X)

দিল্লি, ১০ সেপ্টেম্বর: সুশীলা কারকি (Sushila Karki) এবার বদলে যাওয়া নেপালের (Nepal) প্রথম প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। ৭২ বছরের সুশীলা কারকিকে নেপালের বিক্ষোভকারীরা সামনে আনতে শুরু করেছেন অন্তবর্তী সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। সুশীলা কারকিকে নিয়ে তাই জোরদার জল্পনা শুরু হয়েছে। এই সুশীলা কারকিকে অন্তবর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেনা বাহিনী মেনে নেবে কি না, তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা।

কে এই সুশীলা কারকি?

জানা যায়, সুশীলা কারকি হলেন নেপালের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি। ২০১৬ সালে সুশীলা কারকি প্রথম নেপাল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। যা ভারতের (India) পড়শি দেশের এক ঐতিহাসিক ঘটনা বলেই মনে করা হয়।

এবার সুপ্রিম কোর্টের সেই প্রাক্তন বিচারপতিকে নেপালের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান মুখ বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিতে চাইছে জেন জ়ি-এর (Gen Z Protesters) বিক্ষোভকারীরা।

রিপোর্টে প্রকাশ, সুশীলা কারকিকে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করতে ভোট চাওয়া হয়েছিল। যেখানে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ভোট পেয়ে সুশীলা কারকি পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার হিসেবে এগিয়ে রয়েছেন।

চলতি সপ্তাহে নেপালে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। জেন জ়ি-এর বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী (বর্তমানে প্রাক্তন) কে পি শর্মা ওলিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন। নেপালের রাষ্ট্রপতি পাউডেলও মঙ্গলবার ইস্তফা দিয়ে সরে যান। তারপরও বিক্ষোভ থামেনি।

নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর স্ত্রীকে জ্ব্যান্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়। যে ঘটনা আন্তর্জাতিক মহলকে নাড়া দিয়ে যায়। এরপরই নেপালের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুশীলা কারকির নাম উঠে আসে।

প্রসঙ্গত বাংলাদেশে (Bangladesh) যখন হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়, সেই সময় মহম্মদ ইউনুসকে বেছে নেওয়া হয় অন্তবর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে। এবার নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের পটভূমি মিলে গেল। নেপালেও প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতাচ্যুত করে অন্তবর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে উপমহাদেশে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলি ক্রমাগত একদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।