কলম্বো, ১১ মে: শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) জুড়ে অব্যাহত উত্তেজনা। মাহিন্দা রাজাপাক্ষে (Mahinda Rajapaksa) প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর থেকে উত্তেজনা আরও বাড়তে শুরু করে। ফলে সোমবার রাজধানী কলম্বো (Colombo) জুড়ে শুরু হয় সরকারি বিরোধী বিক্ষোভ। মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীর। যার জেরে, বাস, ট্রাক-সহ একাধিক যানবাহন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। সরকার বিরোধীদের দমন করতে নয়া কৌশল নেয় সে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। জানানো হয়, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করতে দেখলেই, গুলি চালানো হতে পারে। সেনা মুখপাত্রের তরফে ওই বিবৃতি প্রকাশের পর তা নিয়ে জোর শোরগোল শুরু হয়।
এ বিষয়ে আজ মুখ খোলেন শ্রীলঙ্কার এক পদস্থ সেনা আধিকারিক। জিডিএইচ কমল গুনারান্তে নামে এক পদস্থ সেনা আধিকারিক আজ জানান, বিক্ষোভকারীদের সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করতে দেখলে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়াা হবে, এমন নয়। বিক্ষোভ যদি মাত্রাতিরিক্ত হয়, সেক্ষেত্রে এই ধরনের চরম পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে জানান ওই সেনা আধিকারিক।
তিনি আরও বলেন, যাঁরা কারফিউ ভাঙার চেষ্টা করবেন, সেনা, পুলিশকে দেখে হামলা চালাবেন, তাঁদের বিক্ষোভ মাত্রাতিরিক্ত হলে, তবেই এই ধরনের নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। শ্রীলঙ্কার সরকার কখনও নিজের দেশের মানুষকে অকারণ বন্দুকের নলের সামনে ঠেলে দিতে চায় না বলেও মন্তব্য করেন সংশ্লিষ্ট সেনা আধিকারিক।
আরও পড়ুন: Bollywood: কোভিডের খরা কাটিয়ে চলতি বছর মুক্তি পাচ্ছে বলিউডের ৪ দমদার ছবি
দেশের কোথাও বিক্ষোভ শুরু হলে, প্রথমে পুলিশ নিরস্ত করার চেষ্টা চালাবে। বিক্ষোভের মাত্রা বাড়লে, পুলিশ শূণ্যে গুলি চালাবে। এরপরও বিক্ষোভো দমানো না গেলে, পুলিশকে হাঁটুর নীচ থেকে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরও পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দমাতে না পারলে, সেক্ষেত্রে সেনা বাহিনীকে ডাকবে বলে জানান ওই সিংহলী আধিকারিক।