সিওল, ৩ জুন: করোনা আক্রান্ত রোগীদের সু্স্থ করতে অ্যান্টি ভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভিরের (remdesivir) জরুরি অনুমোদনের নির্দেশ দিল দক্ষিণ কোরিয়া। এর ফলে সেদেশে রেমডিসিভির আমদানির পথও প্রশস্ত হল। মার্কিন মুলুকের হাসপাতালগুলিতে মে মাস থেকেই জরুরি ভিত্তিতে রেমডেসিভিরের ব্যবহার শুরু হয়েছে। জাপানের হাসপাতালেও করোনা রোগীকে সুস্থ করতে রেমডেসিভিরের প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে আদৌ মামলা দায়ের করবে কি না সেই সংক্রান্ত বিবেচনা শুরু করেছে ব্রিটেন। দক্ষিণ কোরিয়ার খাদ্য ও ওষুধ বিষয়ক নিরাপত্তা মন্ত্রী এই প্রসঙ্গে বলেছেন, সেদেশের সরকারে পর্যালোচনা বলছে, এই ওষুধ যে করোনা মোকাবিলায় কার্যকর তা পরীক্ষিত। শুরু দিকে চিনের বাইরে দক্ষিণ কোরিয়াতেই করোনাভাইরাসে প্রকোপ প্রথমে দেখা যায়।
তবে শুরু থেকেই রোগীকে চিহ্নিত করে টেস্ট ও চিকিৎসার বন্দোবস্ত অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে হওয়ায় কমে যায় ভাইরাসের সংক্রমণ। দক্ষিণ কোরিয়ার বাসিন্দারা প্রথম থেকেই সরকারের গাইড লাইন মেনে মাস্ক ব্যবহার শুরু করেন। সবমিলিয়ে সেদেশে ১১ হাজার ৫৯০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা ২৭৩। ৮০০-রও বেশি রোগী এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে অনেককেই শুধু পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আরও পড়ুন-Vijay Mallya Extradition Case: প্রত্যার্পণ মামলায় হার, পলাতক বিজয় মালিয়াকে এবার দেশে ফেরাবে কেন্দ্র
উল্লেখ্য, রেমডেসিভির নিউক্লিওটাইড অ্যানালগ (Nucleotide Analog)। আরএনএ ভাইরাসের প্রতিলিপি তৈরির ক্ষমতাকে নষ্ট করে দিতে পারে এই অ্যান্টি-ভাইরাল ড্রাগ। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে রেমডেসিভির নিয়ে গবেষণা চলছে। এই প্রজেক্টের অন্যতম গবেষক ভারতীয় বংশোদ্ভূত অরুণা সুব্রহ্মণ্যম। তিনি স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের ইমিউনোকম্প্রোমাইজড হোস্ট ইনফেকসিয়াস ডিজিজ বিভাগের প্রধান ও চিফ ক্লিনিকাল অফিসার। জানিয়েছেন, দু’টি পর্যায়ে রোগীদের উপর ট্রায়াল শুরু হয়েছে স্ট্যানফোর্ডে। কিছু রোগীর শরীরে পাঁচদিন ধরে একটা নির্দিষ্ট ডোজে রেমডেসিভির প্রয়োগ করা হয়েছে, অন্যদের দশ দিন ধরে ওই ওষুধের ডোজ দেওয়া হয়েছে। দুই ক্ষেত্রেই একই রেজাল্ট পাওয়া গেছে। পাঁচদিনের কোর্সে যাঁদের রেমডেসিভিরের ডোজ দেওয়া হয়েছিল তাঁদের সংক্রমণ যতটা কমেছে, দশদিনের কোর্স করা হয়েছিল যাঁদের উপরে তাঁরাও একইভাবে উপকৃত।