Gaza (Photo Credit: X)

দিল্লি, ২৫ জুলাই: প্যালেস্তাইনের (Palestine) প্রতি ফ্রান্স (France) যে মনোভাব দেখাচ্ছে, তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্যালেস্তাইনের প্রতি ফ্রান্সের এই মনোভাব একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। এবার ইউরোপের এই দেশের বিরুদ্ধে এভাবেই ক্ষোভ উগরে দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি মার্কো রুবিও বলেন, প্যালেস্তাইনকে দেশের মর্যাদা দেওয়ার কথা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টে ইমানুয়েল মারকন (French President Emmanuel Macron) যেভাবে বলছেন এবং সেই নীতি তিনি রাষ্ট্রসংঘে তুলে ধরার কথা বলছেন যে প্রক্রিয়ায়, তা একেবারেই ঠিক নয়। ইমানুয়েল মারকনের এই নীতি হামাসের প্রোপাগন্ডাকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মার্কো রুবিও।

শুধু তাই নয়, শান্তি প্রতিষ্ঠার যে প্রক্রিয়া, মারকনের এই পদক্ষেপের জেরে তাও বিঘ্নিত হবে বলে মন্তব্য করেন মার্কিন প্রতিনিধি। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় যাঁদের প্রাণ যায়, সেই সমস্ত ভুক্তভোগীদের গালে এবার থাপ্পড়ও মারা হচ্ছে মারকনের এই পদক্ষেপের জেরে। এমন মন্তব্যও করেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধি।

আরও পড়ুন: Gaza People Are Now Eating From Trash: ইজরায়েলের বোমায় জ্বলছে গাজ়া, খিদের জ্বালায় নোংরা থেকে খাবার তুলে খাচ্ছে মানুষ, দেখুন ভয়ঙ্কর ভিডিয়ো

দেখুন মার্কো রুবিও কী লিখলেন...

প্যালেস্তাইন নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের মন্তব্য এবং তাঁর চিন্তাধারা কার্যত ঘুম ওড়াতে শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের...

 

মারকন বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে এবং গাজ়ার মানুষকে প্রতি নিয়ত যে দুর্দশার মুখে পড়তে হচ্ছে, তা বন্ধ হওয়া উচিত। যুদ্ধ বিরতি করে, সমস্ত পণবন্দিদের মুক্ত করা হোক। সেই সঙ্গে হামাসকে প্রতিহত করে গাজ়ার সাধারণমানুষের প্রাণ রক্ষা করা হোক। নতুনভাবে গড়ে তোলা হোক গাজ়াকে। প্যালেস্তাইন যাতে একটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রের মর্যাদা পায়, সেদিকে প্রত্যেকের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হোক। প্যালেস্তাইনকে সুন্দরভাবে গড়ে, সেখানেকার মানুষের প্রাণ বাঁচানো হোক বলে মন্তব্য করেন ইমানুয়েল মারকন। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে শান্ত নেমে আসুক বলেও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে ট্যুইট করতে দেখা যায়।

মারকনের ওই ট্যুইটের পর ফের আসরে নামে আমেরিকা। মারকনের ওই সিদ্ধান্তের ফলে তা শান্তি প্রক্রিয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়াবে এবং হামাসের প্রোপাগন্ডাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করা হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশের তরফে।