দিল্লি, ১৮ সেপ্টেম্বর: পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে শুরু করেছে আরও একবার। এবার নিজেদের লালন পালন করা কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদই পাকিস্তানের মুখোশ খুলছে। জইশ কমান্ডার (Jaish commander) ইলিয়াস কাশ্মীরিকে এবার বলতে শোনা যায়, অসীম মুনির নিজের অফিসারদের বলেন, সিঁদূরের আঘাত নিহত জঙ্গি নেতাদের শেষকৃত্য়ে হাজির হতে। অর্থাৎ পাক সেনা প্রধান অসীম মুনির যে অতপ্রোতভাবে জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে যুক্ত, তা ফের প্রকাশ করে দেয় ইলিয়াস কাশ্মীরি নামের ওই জইশ কমান্ডার।
সম্প্রতি ইলিয়াস কাশ্মীরির বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সেখানেই এবার জইশ কমান্ডারকে বলতে শোনা যায়, পাক সেনা প্রধান (Pakistan Army) অসীম মুনির (Asim Munir) শীর্ষ সেনা কর্তাদের নির্দেশ দেন, তাঁরা যাতে নিহত জঙ্গিদের শেষকৃত্যে হাজির হন। মুনিরের নির্দেশ পেয়েই পাক সেনার অফিসাররা অপারেশন সিঁদূরের আঘাতে মৃতদের শেষকৃত্যে হাজির হন।
শুধু তাই নয়, সিঁদূরের আঘাতে নিহত জঙ্গি (Terrorist) নেতাদের যাতে শেষ সম্মান দেওয়া হয়, সেই নির্দেশও মুনিরের তরফে পাক সেনাকে দেওয়া হয়। পাশাপাশি নিহত জঙ্গি নেতাদের কফিন নিজেদের কাধে তুলে নিয়ে গিয়ে দাফন করতে হবে পাক সেনার অফিসারদের। অপারেশন সিঁদূরের অভিঘাতের পর অসীম মুনির এমন নির্দেশও পাক সেনাকে দেন। গোটা বিশ্বের সামনে ভাইরাল হওয়া অডিয়ো ক্লিপে বলতে শোনা যায় ইলিয়াস কাশ্মীরি নামের ওই জঙ্গি কমান্ডারকে।
কাশ্মীরির যে অডিয়ো এবং ভিডিয়ো ক্লিপগুলি ভাইরাল হতে শুরু করেছে, সেখানকার একটিতে তাকে বলতে শোনা যায়, জইশ প্রধান মাসুদ আজাহারই ভারতের একাধিক জঙ্গি হামলায় জড়িত। দিল্লি এবং মুম্বইতে যে সমস্ত জঙ্গি হামলা রয়েছে, তা মাসুদ আজাহারের মস্তিষ্ক প্রসূত বলেও একটি সভা থেকে বলতে শোনা যায় ইলিয়াস কাশ্মীরিকে।
সবকিছু মিলিয়ে জইশ কমান্ডার যেভাবে পাকিস্তান এবং তাদের লালিত জঙ্গিদের মুখোশ খুলছে, অসীম মুনিরের প্রকৃত চেহারা প্রকাশ করছে, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
অপারেশন সিঁদূর (Operation Sindoor) নিয়ে জইশ কমান্ডারকে মুখ খুলতে শোনা যায়, ১৭ সেপ্টেম্বর পালটা হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জইশের নাম না করেই তিনি বলেন, যারা ভারতের মা, বোনদের সিঁথির সিঁদূর মুছে দেয়, তাদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়েছে। ভারত কাউকে ভয় পায় না। জঙ্গিদের ঘরে ঢুকে ভারতের জওয়ানরা খতম করবেন বলেও পাকিস্তানকে চরম হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।