ইরানে হামাস (Hamas) প্রধান ইসমাইল হানিয়াহের (Ismail Haniyeh) মৃত্যুর পর ইজরায়েলের মধ্যে তুরস্কের (Turkey) দূতাবাসে অর্ধনমিত রাখা ছিল জাতীয় পতাকা। হানিয়াহ, হিজবুল্লাহ প্রধান শুকুরের মতো আতঙ্কবাদীদের খতম করার পর ইজরায়েলে যে কোনও মুহূর্তে যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। এই অবস্থা তুরস্কের এই পদক্ষেপ নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এতদিন পর্যন্ত তুরস্ক ইজরায়েলের পাশাপাশি ইরান, লেবানন, জর্ডন, ইরাকের মতো দেশগুলিতেও ছিল। ফলে তাঁরা যে দুইদিকেই সক্ষতা বজায় রাখছিল তা কিন্তু স্পষ্ট। কিন্তু তুরস্কের অর্ধনমিত পতাকা বিতর্কে ক্ষুব্ধ ইজরায়েল। বিদেশমন্ত্রী ইজরায়েল কাটজ (Israel Katz) তলব করেছে তুরস্কের ডেপুটি রাষ্ট্রদূতকে। সেই সঙ্গে ইজরায়েলে যতগুলি দেশের দূতাবাস রয়েছে তাঁদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ইসমাইল হানিয়াহর মতো খুনিদের জন্য কোনও শোকপ্রকাশ সহ্য করবে না ইজরায়েল। যদি কেউ এরকম ঘটনা ঘটায় তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে সরকার।

শুক্রবার এক্স হ্যাণ্ডেলে ইজরায়েল কাটজ টুইট করে জানান, "তেল আভিভে তুরস্ক দূতাবাসের প্রতিনিধিকে জবাবদিহি করতে হবে যে তাঁরা এই কাজ কেন করেছে। এটি ইজরায়েলের প্রতি অসম্মানজনক একটি ঘটনা। এটা কখনই সরকার বরদাস্ত করবে না। হামাস জঙ্গি সংগঠনের প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ একজন খুনি। ৭ অক্টোবর এর নেতৃত্বে হামাস একাধিক ইজরায়েলিকে খুন করেছে। আর তাঁর মতো জঙ্গির মৃত্যুতে ইজরায়েলের মাটিতে শোকপ্রকাশ চলছে"।

পাশাপাশি বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, "যদি তুরস্ক একান্তই হানিয়াহর জন্য শোকপ্রকাশ করতে চায় তাহলে তাঁরা নিজেদের দেশে চলে যাক এবং হামাসের সমর্থনে তাঁদের মাস্টার এরদোগানের (Recep Tayyip Erdoğan) সঙ্গে শোকপ্রকাশ করুক"। অন্যদিকে ইজরায়েলের এই কড়া বার্তার পর নীরব তুরস্ক। এর আগে অবশ্য হামাস প্রধানের মৃত্যু নিয়ে টুইট করেছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। এমনকী প্রকাশ্যে প্যালেস্তাইনের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন। তারপর থেকেই ইজরায়েল ও তুরস্কের মধ্যে দুরত্ব সৃষ্টি হতে থাকে।