ফের উত্তপ্ত মধ্য়প্রাচ্যের পরিস্থিতি। একে অপরকে লক্ষ্য করে লাগাতার মিসাইল হামলা (Missile Attack) চালাল ইজরায়েল (Israel) এবং হেজবোল্লা (Hezbollah)। রবিবার সকাল থেকেই লেবাননের (Lebanon) দক্ষিণপ্রান্তে হেজবোল্লা ঘাঁটি নিশানা করে রকেট হামলা শুরু করেছে ইজরায়েল সেনা। এদিকে লেবাননের জঙ্গি সংগঠন বিবৃতি জারি করে দাবি করেছে, ইজরায়েলের একাধিক সামরিক ঘাঁটির উপর ৩২০টি কাতিউশা রকেট ছুড়েছে তারা। সেই রকেট হামলার জবাবেই রবিবার সকাল থেকে লেবাননে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে নেতানিয়াহুর দেশ। ইরান সমর্থিত লেবাননের সঙ্গের যুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে ইজরায়েল আগামী ৪৮ ঘণ্টা জরুরি অবস্থার (Israel Emergency Situation) ঘোষণা করেছে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট জানিয়েছেন, দেশের নাগরিকদের উপর হামলা হতে পারে, তাঁদের সুরক্ষার জন্যে আগামী ৪৮ ঘণ্টা দেশে জরুরি অবস্থা জারি থাকবে।
রবিবার সকালেই ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্রের তরফে সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়, লেবাননের দক্ষিণপ্রান্তে হামলার হুঁশিয়ারি দিয়ে আগেই সেখান থেকে নাগরিকদের অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছিল। হেজবোল্লা যে ইজরায়েলে হামলা করতে পারে সেই খবর আগে থেকেই ছিল তেল আভিভের (Tel Aviv) কাছে। ফলে আত্মরক্ষার পালটা হামলা হিসাবে আইডিএফ (Israel Defence Force) লেবাননের দক্ষিণপ্রান্তে হেজবোল্লা ঘাঁটি লক্ষ্য করে একের পর এক মিসাইল ছোঁড়ে। হেজবোল্লা ঘাঁটি এবং সংলগ্ন এলাকা ছেড়ে সাধারণ নাগরিককে সরে যেতে বলা হয়েছিল। এই হামলার জবাবে ভবিষ্যতে হেজবোল্লা যে ফের ইজরায়েলে হামলা করতে পারে সেই আশঙ্কা করে সব দিক থেকেই প্রস্তুত থাকতে চাইছে তেল আভিভ। তাই ৪৮ ঘণ্টা সেখানে জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই ইজরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধ (Israel-Hamas War) অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে ইরানের সঙ্গে ছায়াযুদ্ধের থেকে সরে ইজরায়েলের সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। ইরানের পাশে রয়েছে হামাস এবং হেজবোল্লার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলো। সেই যুদ্ধ বাঁধলে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আরও ভয়ানক চেহারা নিতে চলেছে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসঙ্ঘ।