Devastated Gaza (Photo Credit: X)

দিল্লি, ২ মে: হামাস নিধনে (Hamas) ইজরায়েলি হামলা (Israeli Attack) ক্রমাগত চলছে। গাজায় (Gaza) ক্রমাগত ইজরায়েলি হামলার জেরে ৮০০ বাচ্চার পড়াশোনা প্রায় বন্ধের মুখে। এই মুহূর্তে  ইজরায়েল যেভাবে হামলা শুরু করেছে, তার জেরেই প্যালেস্তাইনের ৮০০ শিশুর পড়াশোনা বন্ধ হতে চলেছে। এখনও যদি আইডিএফ (IDF) হামলা বন্ধ না করে, তাহলে কোনওভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে না ওই ৮০০ শিশু। ইজরায়েলি বোমার আঘাতে ভেঙে পড়তে শুরু করেছে একের পর এক স্কুল (School)। ফলে পড়াশোনা বন্ধ হচ্ছে শিশুদের। রাষ্ট্রসংঘের তরফে এমনই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ইজরায়েলের হামলার জেরে প্যালেস্তাইনের বহু শিশু যেমন ঘরছাড়া, বাবা-মা ছাড়া, তেমনি স্কুলছুটও বাড়ছে। ইজরায়েলি হামলায় যখন একের পর এক বাড়ি, স্কুল ভেঙে পড়ছে, সেই সময় প্যালেস্তিনীয় শিশুরা কোথায় পড়াশোনা করবে, তা নিয়ে ছড়াতে শুরু করেছে আশঙ্কা। গাজার ভূখণ্ড প্রায় লণ্ডভণ্ড। ইজরায়েল বর্তমানে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কেও হামলা শুরু করেছে। ফলে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে থাকা শিশুরাও এই মুহূর্তে স্কুল-মুখো হতে পারছে না বলে খবর।

আরও পড়ুন: Amid Israeli Attack, 400,000 Displaced In Gaza: গাজা ধ্বংস করছে ইজরায়েল, ভিটেমাটি কেড়ে ৪ লক্ষ মানুষকে পথে বসাল নেতানিয়াহু বাহিনী

রাষ্ট্রসংঘের (UN) কথায়, যে শিশুরা ভবিষ্যতে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়র হওয়ার স্বপ্ন দেখতে, তাদের ভবিষ্যত এক নিমেষে ধূলিষ্যাৎ হতে শুরু করেছে। ফলে এই শিশুরা ভবিষ্যতে কী করবে, কোথায় থাকবে, তা নিয়েও ক্রমাগত অনিশ্চয়তা ছড়াচ্ছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস হামলা চালায় ইজরায়েলে। প্রায় ১৪০০ মানুষকে নিমর্মভাবে হত্যার পর ২০০ জনকে পণবন্দি করে  নিয়ে যায় প্যালেস্তিনীয় এই জঙ্গি গোষ্ঠী। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পরদিনই পালটা ইজরায়েল হানাদারি শুরু করে। যার জেরে গাজা ভূখণ্ড প্রায় তছনছ হয়ে যায়। হামাসকে  খতম করতে সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি চুরমার হয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত গাজায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ফলে গোটা দুনিয়া ইজরায়েলের এই হামলার নিন্দায় মুখর হয়ে উঠেছে।