Gaza (Photo Credit: Twitter)

আর কোনও ইজরায়েলি মহিলা পণবন্দিদের ছাড়তে রাজি হননি হামাস। যে অভিযোগে সংঘর্ষবিরতি ভেঙে ফের গাজায় আক্রমণ শুরু করেছে ইজরায়েলের বায়ুসেনা। সংঘর্ষবিরতির পর ইজরায়েলি সেনা আগের চেয়ে অনেক বেশী আক্রমণাত্মক উঠে উঠেছে। উত্তর গাজায় ক্রমাগত বোমাবর্ষণের পর এবার দক্ষিণ গাজাতেও হামাস বাহিনীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে আক্রমণ চালাচ্ছে আইডিএফ। হামাসের দাবি, এখন ইজরায়েলের আক্রমণ এতটাই জোরালো যে গাজার সাধারণ মানুষ পুরোপুরি শেষ হয়ে যাচ্ছে। হামাসের দাবি, গত ১২ ঘণ্টায় ইজরায়েলের হামলায় গাজায় ৬০০ জনেরও বেশী মারা গিয়েছেন। শিশুদের গণকবর দিতে বাধ্য হচ্ছে গাজার বাবা-মা-রা।

ইজরায়েলের দাবি, সাধারণ মানুষদের ঢালা বানাচ্ছে হামাস। ইচ্ছে করে তাদের মৃত্যমুখে ঠেলে দিচ্ছে হামাস জঙ্গিরা। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দেশের মুখপাত্র দাবি করেছেন, তাদের আকাশপথে হামলায় রবিবার সকালে গাজায় হামাসের শুজায়া ব্যাটিলিয়নের সিনিয়র এক কমান্ডার মারা গিয়েছেন। ইজরায়েলের এখন লক্ষ্য হল, গাজায় ক্রমাগত আক্রমণ জারি রেখে, হামাসের হাতে বন্দি তাদের সব পণবন্দিকে ঘরে ফেরানো। গত ৭ অক্টোবর সীমান্ত টপকে হামাস জঙ্গিরা যাদের ইজরায়েল থেকে জোর করে পণবন্দি বানিয়ে গাজায় লুকিয়ে রেখেছে।

দেখুন ভিডিয়ো

এদিকে, বিশেষজ্ঞমহলের দাবি হামাস জঙ্গি গোষ্ঠীকে শেষ করতে ইজরায়েলের ১০ বছর লেগে যেতে পারে। তাহলে কি আগামী দশ বছর যুদ্ধ জারি রাখবে ইজরায়েল? সাম্প্রতিক রিপোর্টে প্রকাশ, যুদ্ধের ব্যাপক খরচ, আর দেশের মানুষের রোজগার কমে যাওয়ায় ইজরায়েলের আর্থিক অবস্থা বেশ খারাপ হতে শুরু করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর্থিক সাহায্য, অস্ত্র জোগালেও যুদ্ধের ব্যাপক খরচের অনেকটাই যাচ্ছে ইজরায়েলের সাধারণ মানুষের করের টাকা থেকে। এভাবে কতদিন যুদ্ধ চলবে?