পুলিশি বর্বরতায় মাহসা আমিনির (Mahasa Amini) মৃত্যুর পর ২০২২-২৩ সালের অস্থিরতায় তার ভূমিকার জন্য সুপরিচিত ইরানি র্যাপার তুমাজ সালেহিকে (Toomaj Salehi) মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সংস্কারপন্থী শার্গ পত্রিকার (Shargh) খবর অনুসারে, প্রতিবাদী গানের লিরিকস সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার জন্য এই বিখ্যাত র্যাপারের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। আসলে, ২২ বছর বয়সী কুর্দি ইরানি তরুণীকে 'অনুপযুক্ত' হিজাব পরার অভিযোগে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়, পরে পুলিশ হেফাজতে তার মৃত্যু হয়। মাহাসা আমিনির মৃত্যু দেশব্যাপী বিক্ষোভের সূত্রপাত করে যা পরে হিজাবের প্রতিবাদকারী নারীদের সমর্থনে বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভের সূচনা করে। বিক্ষোভের প্রায় দুই বছর পর ২০২২-২৩ সালের অস্থিরতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইরানের বিপ্লবী আদালত তুমাজ সালেহিকে সাজা দিয়েছে। Israel-Iran War: লেবাননের গ্রামে হামলা ইজরায়েলের, ইরান সমর্থিত হেজবুল্লাদের পালটা হানাদারি; উত্তেজনা বাড়ছে, দেখুন ভিডিয়ো
Iranian dissident rapper Toomaj Salehi, who was among the icons of Iran’s 2022 protests, has been sentenced to death. He used music as a weapon of resistance against the Iranian regime.
~ @IFazilaBaloch pic.twitter.com/ST26OJhR0D
— Imtiaz Mahmood (@ImtiazMadmood) April 25, 2024
সুপরিচিত ইরানি র্যাপার সালেহি তার গানের মাধ্যমে ২০২২ সালে কয়েক মাস ধরে চলা ইরানে বিক্ষোভকে সমর্থন করেন। বিক্ষোভের সমর্থনে প্রকাশ্যে বিবৃতি দেওয়ার পর ২২ অক্টোবর তাকে প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ২০২৩ সালে তাকে ছয় বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই সময় ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তিনি মৃত্যুদণ্ড থেকে বাঁচতে সক্ষম হন। এখন ইরানের বিচার বিভাগ তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে, তার কাছে এখনও সাজা কমানোর বিকল্প আছে। বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, সালেহির বিরুদ্ধে বিপ্লবী আদালতের রাষ্ট্রদ্রোহিতা, সমাবেশ এবং যোগসাজশ, ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রচারণা এবং দাঙ্গা ডেকে আনার অভিযোগ আনা হয়েছে। সালেহির বিরুদ্ধে প্রাথমিক অভিযোগ অনুসারে, তার বিরুদ্ধে ইন্টারনেটে মিথ্যা বলে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রচারণা ছড়ানোর পাশাপাশি জনগণকে সহিংসতায় উস্কানি দেওয়া এবং ইরানের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন সরকারের সহযোগিতায় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার লক্ষ্যে অবৈধ দল গঠন ও পরিচালনা করার অভিযোগ আনা হয়েছিল।