Ayatollah Khamenei: ‘আজকের হামলা তো শুধু ওয়াশিংটনের গালে থাপ্পড় মাত্র, আসল কাজ  এখনও বাকি’, মুখ খুললেন আয়াতোল্লা খামেনেই
আয়াতোল্লা খামেনেই(Photo: kremlin.ru)

তেহরান, ৮ জানুয়ারি: কথা রাখল ইরান, ট্রাম্পকে দেওয়া কথা। সেনাপ্রধান কাসেম সোলেইমানির হত্যার বদলা নিতে বুধবার ইরাকের মার্কিন সেনাঘাঁটিতে চলল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। এই হামলায় ৮০জন মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়েছে। ইরাকে মার্কিন সেনা ও যৌথ বাহিনীকে নিশানা করে মোট ১৫টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছিল ইরানের সেনাবাহিনী। এর জেরে অন্তত ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের তারা ‘মার্কিন জঙ্গি’ বলে অভিহিত করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার এবং সামরিক সরঞ্জাম। সোলেইমনির হত্যার পর প্রকাশ্যে ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরান যদি বদলা হিসাবে কোনও মার্কিন নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের উপর হামলা চালায় তাহলে আমেরিকা ইরানের আরও ৫২ জায়গা আক্রমণ করার জন্য চিহ্নিত করে রেখেছে।

এরপর আমেরিকাকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দেয় ইরান। তাতে বলা হয়, ইরাকে আরও ১০০টি জায়গা চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। আমেরিকা প্রতিশোধ নিতে এলেই পাল্টা আঘাত হানবে ইরান। এদিনের ঘটনা তারই প্রমাণ দিল। দুই দেশের চরম সংঘাতের মধ্যেই ফের একবার হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা খামেনেই (Ayatollah Khamenei)। তাঁর হুমকি, “এই মিসাইল হামলা তো শুধু আমেরিকার গালে থাপ্পড় ছিল। বদলা এখনও বাকি।” জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে মার্কিনিদের 'মিথ্যুক' তোপ দেগে দেশের সর্বোচ্চ নেতার অভিযোগ, 'জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে সন্ত্রাসবাদী তকমা দিতে চেয়েছিল US' দেশের নাগরিকদের উদ্দেশে খামেনেইয়ের পরামর্শ, “আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুন। যাতে শত্রুরা ক্ষতি করতে না পারে। আমেরিকা কিন্তু ইরানের সঙ্গে শত্রুতা মেটাবে না।” আরও পড়ুন-Iran Attacks Bases Housing US Troops: মিসাইল হামলায় নিহত ৮০ জন অ্যামেরিকান সেনা, দাবি ইরানের

মঙ্গলবার মধ্যরাতে ইরাকে মার্কিন সেনা ও যৌথ বাহিনী ব্যবহৃত দু’টি ঘাঁটিকে নিশানা করে ইরান, যার মধ্যে একটি হল আল আসাদে এবং অপরটি হল ইরবিলে। স্থানীয় সময় রাত ১টা বেজে ২০ মিনিটে প্রথম হামলাটি করা হয় বলে জানা গিয়েছে। গত শুক্রবার ওই একই সময়ে বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন ড্রোন হানায় মৃত্যু হয় ইরানের সেনা জেনারেল কাসেম সোলেইমানির। এদিকে, ইরাকে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ইরানের হামলার নিন্দা করেছে ব্রিটেন ও জার্মানি।