দুবাই, ২৪ জুন: কাজ খুইয়ে পূর্বতন মালিকের বাড়িতেই ডাকাতি পাকিস্তানি চোরের। চিনে ফেলায় প্রাণের বিনিময়ে মাশুল দিলেন বাড়ির গৃহকর্তা ও তাঁর স্ত্রী। এই ঘটনায় আততায়ীর ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন মৃত দম্পতির কিশোরী কন্যা। গত সপ্তাহে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দুবাইতে (Dubai)। মৃত দম্পতি হলেন হিরেন আঢ্য ও বিধি আঢ্য। প্রবাসী ভারতীয় আঢ্য দম্পতি আদতে গুজরাটের বাসিন্দা হলেও গত তিন বছর ধরে দুবাইতেই বসবাস করছেন। তাঁদের ২ মেয়ে। পুলিশ জানিয়েছে আততায়ী পাকিস্তানি। সে বছর দুয়েক আগে আঢ্য বাড়িতেই মেনটেন্যান্সের কাজ করত। একবার হাত সাফাই করতে গিয়েই ধরা পড়ে তার চাকরি যায়। আঢ্যরা যে সম্পদশালী তা ভালমতোই জানত সে।
সেই মতোই ডাকাতির ছক কষে। গত সপ্তাহে একদিন বাড়িতে ঢুকে সোনা গয়না ও টাকাকড়ি চুরির উদ্দেশ্যে দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে পড়ে সে। চোরকে চিনতে বেশি দেরি হয়নি আঢ্য দম্পতির। প্রমাণ লোপাটের জন্যই তাঁদের খুন করে আততায়ী। এই ঘটনার সময় বড় মেয়ে আততায়ীর মোকাবিলায় এগিয়ে এলে তাঁকেও ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম করা হয়। কোনওক্রমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন তিনি। পুলিশি ঝামেলা এড়াতে আততায়ীও ততক্ষণে পগার পার। আরও পড়ুন-COVID-19 Tally In India: একদিনে করোনা আক্রান্ত প্রায় ১৬ হাজার, ভারতে মারণ ভাইরাসের কবলে ২,৫৮,৬৮৫ জন
জানা গিয়েছে, হীরেণ আঢ্য শারজা অয়েল অ্যান্ড গ্যাস কন্ট্রাকটরের ডিরেক্টরের পদে ছিলেন। বছর তিনেক আগে পরিবার সমেত দুবাইতে সেটল করে যান। তবে গুজরাটের বাড়িতে তাঁদের আত্মীয় পরিজনরা রয়েছেন। পাকিস্তানি আততায়ী ওই ভারতীয় দম্পতির বাড়িতে কাজ করতে গিয়েই কোতায় টাকা পয়সা রাখা হয় তা ভাল করে নজরে রেখেছিল। চাকরি যাওয়ার পর রীতিমতো একবছর ধরে ডাকাতির পরিকল্পনা করেই সেকাজে হাত লাগায় সে। তবে আততায়ীকে ধরতে পারেনি পুলিশ। তার খোঁজে শুরু হয়েছে তদন্ত।