RCEP Trade Deal: দেশের স্বার্থের সঙ্গে আপস নয় বলেই 'আরসিইপি' চুক্তিতে যোগ দিচ্ছে না ভারত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সিদ্ধান্তে সহমত রাহুল গান্ধীও
নরেন্দ্র মোদি ও রাহুল গান্ধী (Photo Credits: File Image)

নতুন দিল্লি, ৫ নভেম্বর: রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকনমিক পার্টনারশিপ বা 'আরসিইপি'তে (RCEP) যোগ দিচ্ছে না ভারত (India)। দেশের স্বার্থের সঙ্গে আপস কোনভাবেই বরদাস্ত করবেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তাই তড়িঘড়ি এমন সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। এশিয়ার (Asia) ১৬টি দেশের মধ্যে প্রস্তাবিত এই চুক্তিতে ভারত থাকবে না বলে গতকাল সোমবার জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর দাবি, চুক্তিতে ‘মূল আদর্শ ও নীতি প্রতিফলিত হচ্ছে না।’সেই কারণেই চুক্তিতে সই করবে না ভারত। এদিকে মোদির সিদ্ধান্তে সহমত প্রকাশ করেছেন রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi)।

আঞ্চলিক বাণিজ্য শক্তিশালী করতে দক্ষিণ এশিয়ার আসিয়ানভুক্ত ১০টি দেশ (Country) এবং তাদের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে আবদ্ধ ছ’টি দেশের মধ্যে আগামী বছরই এই আরসিইপি চুক্তি সই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারত তাতে সামিল হচ্ছে না। এই ৬ টি দেশ হল চিন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সব দেশবাসীর স্বার্থের কথা ভেবে যখন আরসিইপি চুক্তির বিচার করি, তখন আমি কোনও সদর্থক উত্তর পাইনি। সুতরাং ভারত এই চুক্তিতে সামিল হবে না। যদিও আন্তর্জাতিক মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী বছর নির্ধারিত সময়ে ভারতকে ছাড়াই ১৫ টি দেশের মধ্যে এই চুক্তি ঘোষণা হতে পারে। বিরোধী দল কংগ্রেস (Congress) তো বটেই, বিজেপির (BJP) মার্গদর্শক আরএসএসও গোড়া থেকেই এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে আসছে। তাদের কথায়, এই চুক্তি হলে সস্তা চিনা পণ্যে ভরে যাবে ভারতের বাজার। একই সুরে এদিন দুপুরেই মোদির ঘোষণার আগে এই চুক্তির বিরোধিতা করে টুইট করেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। তিনি লেখেন, ‘প্রতি বছর নাগরিক পিছু ৬০০০ টাকার চিনা পণ্য আমদানি করে থাকে ভারত। ২০১৪ সালের চেয়ে যা ১০০ শতাংশ বেশি। আরসিইপি হলে ভারতে সস্তা জিনিসের বন্যা বয়ে যাবে। যারফলে আরও বহু মানুষ কাজ হারাবেন। আরও সঙ্কটে পড়বে ভারতের অর্থনীতি।’ আরও পড়ুন: Kartarpur Corridor Opening: পাকিস্তানে করতারপুর করিডরের কাছে জঙ্গি আস্তানা, কড়া প্রহরায় মুড়ছে ওয়াঘা সীমান্ত

ভারতীয় কূটনৈতিক মহল সূত্রে খবর, আরসিইপি চুক্তির সিদ্ধান্তের পর গোড়া থেকেই বিরোধিতা করে আসছিল ভারত। চিনা পণ্যের (China Products) রমরমা নিয়ে আপত্তি তুলে আসছিল। তাছাড়া ভারতের অভ্যন্তরীণ উৎপাদক ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেও প্রথম থেকেই এই চুক্তির পক্ষে সায় দেয়নি নতুন দিল্লি। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে সেই ঘোষণাই করলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এরপরে এই চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠে যেতে পারে বলে বণিক মহলের একটি অংশের মত।