দিল্লি, ৬ ডিসেম্বর: ইমরান খানের (Imran Khan) সঙ্গে বুশরার অবৈধ ছিল। বিয়ের আগে বুশরা (Bushra) এবং ইমরান প্রায়শয়ই একে অপরের সঙ্গে দেখা করতেন। বন্ধ ঘরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে তাঁরা সময় কাটাতেন। এবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন বুশরার প্রাক্তন স্বামী খোয়াওর ফরিদ মানেকার পরিচারক। তিনি বলেন, বিয়ের আগে থেকেই বুশরার সঙ্গে ইমরান খানের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁরা প্রায়ই বন্ধ ঘরে একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। ফরিদ মানেকা যখন বাড়িতে থাকতেন না, তখনই ইমরান খান বুশরা বিবির কাছে আসতেন। এরপর তাঁরা একটি ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিতেন বলে দাবি করেন মানকার পরিচারক। তিনি আরও বলেন, বুশরাকে ফোন করে না পেয়ে, মানেকা এরপর তাঁকে কল করেন। সমস্ত ঘটনা শুনে তিনি ইমরান খানকে ঘরের ভিতর থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। মালিকের কথা মত তিনি ইমরানকে জোর করে ঘর থেকে বের করে দিতেন বলে জানান ওই পরিচারক। এমনকী বুশরার সঙ্গে ইমরান খানকে বেশ কয়েকবার তিনি শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে দেখেছেন বলেও দাবি করেন ওই পরিচারক।
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে হাজির হন বুশরার প্রাক্তন স্বামী। তিনি দাবি করেন, তাঁর অনুমতি ছাড়াই বুশরা ইমরান খানের সঙ্গে বার বার সাক্ষাৎ করতেন। এরপর বুশরা জোর করে তাঁর কাছ থেকে বিচ্ছেদ নেন। বিচ্ছেদের পর ৯০ ইদ্দাত (৯০ দিন সময়)-ও করেননি বুশরা। তার আগেই বুশরা এবং ইমরান খান বিয়ে সারেন বলে ক্ষোভ উগরে দেন মানেকা। ইদ্দাতের সময়ের আগেই বুশরা এবং ইমরান বিয়ে করেন ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে। ওই সময় তাঁদের বিয়ে অবৈধ থাকায় অনুষ্ঠান হয় ফেব্রুয়ারিতে। বলেন মানেকা।
যদিও মানেকার সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করে দেন ইমরান খান। তিনি পালটা দাবি করেন, নিকাহ-র সময়ই তিনি একমাত্র বুশরার মুখ দেখেছেন। তাঁকে বদনাম করতেই বুশরা প্রাক্তন স্বামী এবং তাঁর পরিচারক এই ধরনের দাবি করছেন বলে জানান ইমরান খান।