Hafiz Abdul Rehman Makki (Photo Credit: X)

দিল্লি, ২৭ ডিসেম্বর: পাকিস্তানের (Pakistan) হাসপাতালে মৃত্যু হল কুখ্যাত লস্কর জঙ্গি হাফিজ আবদুল রহমান মাক্কির (Hafiz Abdul Rehman Makki)। হার্ট অ্যাটাক হলে মাক্কিকে পাকিস্তানের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে যত্নে  চিকিৎসা শুরু হয় তার। শেষে শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় ভারত বিরোধী কুখ্যাত জঙ্গি মাক্কির। লস্কর নেতা হাফিজ সইদের ভাই হল আবদুল রহমান মাক্কি। ২৬/১১-র মুম্বই হামলায় এই মাক্কির হাত  ছিল বলে জানা যায়। জানা যায়, আবদুল রহমান মাক্কি লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে এফটিও-র যোগাযোগ করায় (আরও একটি জঙ্গি সংগঠন, যারা মূলত আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে হামলা চালায়)। এরপর মুম্বইয়ের তাজ হোটেলে ভয়াবহ হামলা চালায়।

আরও পড়ুন: Pakistani Terrorist Hafiz Abdul Rehman Makki Dies: ভারত বিরোধী কুখ্যাত জঙ্গি হাফিজের মৃত্যু, হার্ট অ্যাটাকের পর পাকিস্তানে যত্নে চিকিৎসা লস্কর সন্ত্রাসীর

কে এই হাফিজ আবদুল রহমান মাক্কি?

১৯৫৪ সালের ১০ ডিসেম্বর জন্ম হয় মাক্কির। যদিও ১৯৪৮ সালও মাক্কির জন্মতারিখ হিসেবে লিপিবদ্ধ রয়েছে বলে খবর।

হাফিস সইদের হাত ধরে উঠে আসে আবদুল রহমান মাক্কি। এই মাক্কির অঙ্গুলিহেলনেই একাধিক জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।

২০০০ সালে লাল কেল্লায় যে গুলি চালানো ঘটনা ঘটে, তাও মাক্কির অঙ্গুলিহেলনে বলে জানা যায়।

২০০৮ সালের জম্মু কাশ্মীরের রামপুরের হামলাতেও ছিল মাক্কির হাত। যে ঘটনায় ৫ জঙ্গির হাতে ৭ সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুর খবর মেলে।

২৬/১১-র মুম্বই হামলায়ও ছিল মাক্কির হাত। যে ঘটনায় বহু মনাুষের মৃত্যু হয়। সেই সঙ্গে জ্ব্যান্ত পাকড়াও করা হয় আজমল কাসব নামে এক জঙ্গিকে।

২০১৮ সালে জম্মু কাশ্মীরের করণ নগরে সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলা চলায় লস্করের মাক্কির অনুগামীরা।

২০১৮ সালে খানপোরায় যে হামলা হয়, সেখানেও মাক্কির হাত ছিল বলে জানা যায়।

২০১৮ সালে সাংবাদিক সুজাত বুখারির নির্মম মৃত্যুও মাক্কির হাতে হয়।

২০১৮ সালে বান্দিপোরার গুরেজ সেক্টরে যে হামলা হয়, তাও লস্করের এই কুখ্যাত নেতার নেতৃত্বে।

একের পর এক জঙ্গি কার্যকলাপে অভিযুক্ত আবদুল রহমান মাক্কিকে একাধিক চাপের মুখে পড়ে পাকিস্তান সরকার ২০১৯ সাল গ্রেফতার করে। এরপর তাকে লাহোরে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। এরপর ২০২০ সালে পাকিস্তানি আদালতের তরফে মাক্কিকে জঙ্গি তকমা দেওয়া হয় এবং জেলে রাখা হয়। তবে দেলে থাকলেও মাক্কির তদারকিতে কিছু খামতি পাক সরকার রাখেনি বলেই খবর।