Donald Trump (Photo Credits: ANI)

দুবছর ধরে চলা হামাস- ইজরায়েল যুদ্ধের বিরতি ঘোষণা হয়েছে। গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং যুদ্ধবন্দীদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনায় গত ১০ অক্টোবর অনুমোদন দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনাকে একটি 'গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি' বলে অভিহিত করে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

গতকাল মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজা যুদ্ধ শেষ হয়েছে। ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর তিনি ইজরায়েলে যাচ্ছেন গাজা থেকে বন্দীদের মুক্তির তদারকি করতে।এয়ার ফোর্স ওয়ান-এ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ট্রাম্প আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, এই যুদ্ধবিরতি টিকে থাকবে। সবাই খুশি এবং আমি মনে করি এটা এমনই থাকবে।খুব দ্রুতই গাজায় একটি শান্তি বোর্ড গঠিত হবে। গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন ট্রাম্প।শুধু তাই নয় তিনি জানান বিশ্বব্যপী দ্বন্ধ ও সমস্যার সমাধান করতে তিনি বদ্ধ পরিকর। গাজা যুদ্ধকে ধরলে তিনি এই নিয়ে আটটি যুদ্ধ থামিয়েছেন। এমনকি আলোচনা কালে আবারও ভারত-পাক যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে সেই যুদ্ধ থামানোর কৃতিত্বও দাবি করেছেন ট্রাম্প।

ইজরায়েল ও হামাসের শান্তি চুক্তি অনুযায়ী, সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর নাগাদ হামাসের হাতে থাকা সব যুদ্ধ বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে।প্রথম পর্যায়ের এই শান্তি চুক্তিতে গাজা থেকে ২০ জন জীবিত ইজরায়েলি বন্দী ও ২৮ জনের মৃতদেহ ফেরত আসার কথা রয়েছে। এর বিনিময়ে ইজরায়েল মুক্তি দেবে ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি এবং গাজার ১৭০০ জনকে। পাশাপাশি মানবিক সহায়তার পরিমাণও বাড়ানো হবে।ইজরায়েলি সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, জীবিত বন্দীদের নিরাপদে ইজরায়েলে ফেরার পরই বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে।

যুদ্ধবিরতির পর তেল আবিবে শত-সহস্র মানুষ সমবেত হয়ে ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়। উল্লেখ্য ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় প্রায় ১২০০ ইজরায়েলি নাগরিক নিহত এবং ২৫১ জন বন্দী হয়েছিলেন। সেই ঘটনার পর ইজরায়েলের সামরিক অভিযানে গাজায় নিহত হয় ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। যার মধ্যে ১৮ হাজারের বেশি শিশু। ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়নের পর তিনি আজ ইজরায়েল পৌঁছে নেসেটে (পার্লামেন্ট) ভাষণ দেবেন। এরপর তিনি যাবেন মিশরের শার্ম আল শেখে, যেখানে একটি আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।