Bangladesh Protest (Photo Credits: X)

বাংলাদেশে আবারও উঠল বিক্ষোভের আগুন। আবারও রাজপথে সেদেশের পড়ুয়া ও যুবসমাজ। প্রধানমন্ত্রী পদে শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পদত্যাগের দাবি জানিয়ে পথে নেমেছেন ছাত্ররা। শনিবার থেকে আওগামী লিগ সরকারের বিরোধিতায় এককাট্টা হতে শুরু করেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। রবিবার তা বিশালাকার নেয়। রাজধানী ঢাকার (Dhaka) পাশাপাশি আরও ৩৩টি জেলায় আন্দোলনের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে। পড়ুয়াদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন বয়স এবং পেশার মানুষজন। আন্দোলনকারীদের কণ্ঠে হাসিনার সরকার বিরোধী স্লোগান। বিভিন্ন রাস্তা অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। শেখ হাসিনার পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস এবং স্টান গ্রেনেডের ব্যবহার শুরু করেছে। বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, রবিবারের বিক্ষোভে ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হচ্ছে আন্দোলনকারীদের।

যত সময় এগোচ্ছে আরও জোরালো হচ্ছে বাংলাদেশের আন্দোলন (Bangladesh Protest)। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। গুলিতে নিহত হয়েছেন ছাত্রনেতা মেহেদি হাসান (রাব্বি)। পুলিশ এবং শাসক দলের সমর্থকদের বিরুদ্ধে ক্রোধে ফুঁসছে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিল প্রশাসন। জানানো হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সে দেশে ৪জি ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে আনতে জারি করা হল কার্ফু। অনির্দিষ্টকালের জন্যে বাংলাদেশে কার্ফু জারি করল হাসিনার সরকার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ার পর্যন্ত সোমবার থেকে আগামী তিন দিন ছুটি বাংলাদেশে।

দেশজুড়ে বিক্ষোভের চাপে মুখ খুলল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। সে দেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী জানালেন, আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পথে সমাধানে যাবেন তাঁরা। কয়েক সপ্তাহ আগেই কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছিল বাংলাদেশে। দেশের শীর্ষ আদালতের রায়ে শান্ত হওয়া পড়ুয়ারা আবারও আন্দোলনের পথে নেমেছে।