বুধবার দুপুরে ভয়াবহ কপ্টার দুর্ঘটনা ঘটল নেপালে। জানা যাচ্ছে দুর্ঘটনাগ্রস্থ চপারের মধ্যে ছিলেন ৪ চিনা নাগরিক এবং এক পাইলট। সূত্রের খবর, দুপুর ১টা ৫৪ নাগাদ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রীদের নিয়ে সিনিয়র ক্যাপ্টেন অরুন মাল্লা রওনা দিয়েছিলেন এবং মাত্র ৩ মিনিটের মধ্যে গ্রাউন্ড স্টাফদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আর তারপরেই কপ্টারটি সূর্যছাউরে (Suryachaur) আছড়ে পড়ে। ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে দাউদাউ করে পুড়ছে কপ্টারের অংশ ও মৃতদের দেহ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে শুরু করা হয়েছে উদ্ধারকাজ। তবে কী কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটল তা এখনও জানা যায়নি।

বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ওই কপ্টারে দুই পুরুষ ও এক মহিলা চিনা যাত্রী ছিলেন। অপর যাত্রীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এদের গন্তব্য ছিল নেপালের রাসুয়া জেলা। 9এন-এএনএল কপ্টারটি রওনা দেওয়ার আগেও পরীক্ষা করা হয়েছিল। তখন সবকিছুই ঠিক ছিল বলে দাবি বিমান আধিকারিকদের। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ নাকি যান্ত্রিক গোলোযোগের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা তদন্তের মাধ্যমে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গিয়েছেন এবং দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকবছর ধরে নেপালে হামেশাই বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে। মূলত প্রাকৃতিক কারণ এবং পার্বত্য এলাকা হওয়ার কারণে উড়ান ওঠা নামার সময়ই দুর্ঘটনাগুলি ঘটছে বলে দাবি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। সপ্তাহদুয়েক আগে কাঠমান্ডুতে একটি যাত্রীবাহী বিমান ভেঙে পড়ে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। একমাত্র বিমানচালক এই দুর্ঘটনায় বেঁচে গিয়েছিলেনয