সান ফ্রান্সিস্কো, ১১ জুলাই: এবছর নভেম্বরেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন (Presidential Election 2020)। তবে টুইটারের (Twitter) মত ফেসবুকও (Facebook) রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন সম্প্রচার নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পথে। এর আগে নির্বাচনে প্রচারের মাধ্যম হিসেবে ফেসবুককে ব্যবহার করায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। তার থেকে বিরত থাকতেই জুকারবার্গ সংস্থা এই পথে হাঁটবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে জানা গেছে এবিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। বিজ্ঞাপনগুলিতে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি প্রথম ব্লুমবার্গ জানিয়েছিল। তবে বিষয়ে ফেসবুকের মুখপাত্র মন্তব্য করতে রাজি হননি। টুইটার গত বছর রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দেওয়ার সময় টুইটারের সিইও জ্যাক ডরসি টুইট করেন, "আমরা বিশ্বাস করি যে রাজনৈতিক বার্তা পৌঁছানো উচিত, কেনা উচিত নয়।" আরও পড়ুন, 'প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, ভারত ও চিনকে অংশীদার হতে হবে, আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত বিরোধ মেটানো উচিত'
ফেসবুকের অনুশীলনের একটি উচ্চ প্রত্যাশিত সমিক্কা এই সপ্তাহে প্রকাশিত হয়, যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত পোস্টগুলি সরিয়ে না দেওয়ার সংস্থার সিদ্ধান্ত "গভীর উদ্বেগজনক" ছিল। অডিটরদের দৃষ্টিতে, ফেসবুককে খোলাখুলি মত প্রকাশের ওপর জোর দেওয়াটা বৈষম্যবিহীন সমালোচনামূলক যথাযথভাবে ভারসাম্য হয়নি।
ফেসবুকের চিফ অপারেটিং অফিসার শেরিল স্যান্ডবার্গ বলেন, "রাজনীতিবিদদের ফ্যাক্ট-চেক না করার বিষয়ে আমাদের নীতির সঙ্গে সমীক্ষকরাও দৃঢ়ভাবে একমত নন এবং বিশ্বাস করেন যে শেষ ফলাফলটি ক্ষমতার পদে থাকা ব্যক্তিদের জন্য আরও জোরালো হবে।" নাগরিক রাইট গ্রুপের নেতারা ফেসবুকের সিইও মার্ক জুকারবার্গ এবং সিওও শেরিল স্যান্ডবার্গের সঙ্গে তাদের প্ল্যাটফর্মে ঘৃণ্য বিষয়বস্তু ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ নিয়ে দেখা করার পরে হতাশ হয়েছেন।