Emirati Women's Day

নয়াদিল্লি: আজ সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে "এমিরাতি নারী দিবস" (Emirati Women's Day) উদযাপন হচ্ছে। সে দেশের নারীদের দেশের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং তাঁদের কৃতিত্বকে সম্মান জানাতে আরব দুনিয়ায় গত দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে এই দিনটি প্রতি বছর আগস্ট মাসের ২৮ তারিখে উদযাপন করা হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও পাশে থাকাকে গুরুত্ব দিতে দেশের নারীদের উৎসাহিত করেতই মূলত এই দিনটি উদযাপন। এখানে উল্লেখ্য, ২০২৩-২০৩১ সাল পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে এমিরাতি মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য জাতীয় কৌশল চালু হয়েছে।

মাদার অফ দা নেশন অর্থাৎ আরব দুনিয়ায় জননী হিসেবে পরিচিত শেখা ফাতিমা ২০১৫ সালে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য সেদেশের নারীদের ভূমিকাকে প্রাপ্য সম্মান জানাতে এই দিনটিকে ‘এমিরাতি উইমেন্স ডে’ হিসেবে পালন করা শুরু করে। শেখা ফাতিমা হলেন, আরব আমির শাহির প্রথম প্রেসিডেন্ট ও প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের স্ত্রী। এই দিনটি যখন ফাতিমা সেদেশে প্রচলন করেছিলেন, সে সময় তিনি সুপ্রিম কাউন্সিল ফর মাদারহুড অ্যান্ড চাইল্ডহুডের প্রেসিডেন্ট এবং ফ্যামিলি ডেভেলপমেন্ট-এর সুপ্রিম চেয়ারওম্যান ছিলেন। আরও পড়ুন : Iranian Photo Journalist Released From Afghanistan: তালিবান শাসিত আফগানিস্তান থেকে মুক্তি ইরানি চিত্রসাংবাদিকের

প্রসঙ্গত, ২৮ অগাস্টকে এমিরাতি উইমেন্স ডে-হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণ হলো এইদিনে ১৯৭৫ সালে আমির শাহির জেনারেল উইমেন্স ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি হয়েছিল। সেই ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সম্মান জানাতে এই দিনটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া।

শেখা ফাতিমা বিনতে মুবারক বলেন, "আমির শাহির নারীরা সমাজের সব ক্ষেত্রে অনন্য এবং বিশিষ্ট অবস্থান অর্জন করে নিয়েছেন তাঁদের কৃতিত্ব ও অবদানের মাধ্যমে। সংযুক্ত আরব আমির শাহিতে মানব উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাঁরা রোল মডেল। নারীর ক্ষমতায়ান বাড়ানোর জন্য জাতীয় কৌশলের তিনটি প্রধান নির্দেশিকা হলো সমাজে নারীদের ভূমিকা বাড়ানোর জন্য পরস্পর নির্ভর, ঐক্যবদ্ধ এবং সহায়ক পরিবার প্রতিষ্ঠা করা, শ্রমবাজার ও ভবিষ্যৎ সেক্টরে নারীদের এবং নারীর সক্ষমতা বিকাশ এবং ভবিষ্যতের দক্ষতা বৃদ্ধি করা।

রিপোর্টে প্রকাশ, গত কয়েক বছর আরব মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের দেশগুলির মধ্যে লিঙ্গ বৈষম্যে শীর্ষে রয়েছে। তবে সংযুক্ত আরব আমির শাহিতে রাজনৈতিক জীবন, নেতৃত্বের অবস্থান এবং উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে মহিলাদের বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে সফল হয়েছে।