President Assassination Attempt: খোদ দেশের প্রেসিডেন্টকে উপহার দেওয়ার নাম করে চকলেট ও জ্যামের মধ্যে লুকিয়ে বিষ ভরে দেওয়া হয়। সেই বিষ খাইয়ে প্রেসিডেন্টকে মারার ছক কষা হয়। এমই ঘটনা ঘটেছে লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে। সেই দেশের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া (Ecuador President Daniel Noboa) জানিয়েছেন, বাবাহোয়ো শহরে এক জনসভায় তাঁকে দেওয়া উপহারের মাধ্যমে বিষপ্রয়োগের চেষ্টা করা হয়। ওই উপহারে ছিল মর্মেলাদা (জ্যাম) এবং চকোলেট, যা তিনটে আলাদা ধরনের রাসায়নিক পদার্থের উচ্চমাত্রায় মেশানো হয়েছিল। এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট নোবোয়া বলেন, চকটেল ও মর্মেলাদার মধ্যে এই তিনটি রাসায়নিকের সংমিশ্রণ যে কারও পরিকল্পিত ও তাকে হত্যার ছক তা তদন্তকারীরা নিশ্চিত। তাঁর মতে, এটি ছিল একটি সুপরিকল্পিত হত্যার চেষ্টা।
দিন কয়েক আগেই প্রেসিডেন্ট নোবোয়ার কনভয়ে হামলা হয়
ইকুয়েডরের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, অধিকর্তারা প্রেসিডেন্টের উপহার সামগ্রীতে থাকা রাসায়নিকের উৎস ও মিশ্রণের উদ্দেশ্য খুঁজে বের করতে প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ ও পরীক্ষাগার পরীক্ষা চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নোবোয়া এই বিষপ্রয়োগ চেষ্টার সঙ্গে গত ৭ অক্টোবরের প্রেসিডেন্টের কনভয় বা মোটরকেড হামলারসঙ্গে সম্পর্ক খুঁজে পাচ্ছেন। কানার প্রদেশের এল তাম্বো এলাকায় তাঁর গাড়িতে পাথর ছোঁড়া হয় এবং সম্ভাব্য গুলির দাগও পাওয়া যায়। গত ৯ অক্টোবর জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস মোটরকেড হামলার নিন্দা করেন এবং শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান জানান। কোস্টারিকা, হন্ডুরাস ও পানামা সরকারের পক্ষ থেকেও প্রেসিডেন্ট নোবোয়া-র পাশে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্টের কনভয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত পাঁচজন সন্দেহভাজন এখনো আটক রয়েছেন। নোবোয়ার কনভয়ে এটি তৃতীয় হামলার ঘটনা। এর আগে ইমবাবুরা প্রদেশে ত্রাণ বিতরণের সময়ও তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ, প্রেসিডেন্টকে হত্যা ও রাজদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত বিষপ্রয়োগ সংক্রান্ত মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
ডিজেলে ভর্তুকি প্রত্যাহার নিয়ে ইকুয়েডরে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে
নোবোয়া সেপ্টেম্বরে ডিজেল ভর্তুকি প্রত্যাহার ঘোষণা করার পর থেকেই দেশজুড়ে অশান্তি শুরু হয়। আদিবাসী সংগঠন CONAIE নেতৃত্বাধীন এই প্রতিবাদে সংগঠনটি সহিংসতার অভিযোগ অস্বীকার করলেও সড়ক অবরোধ অব্যাহত রয়েছে। অশান্ত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ অক্টোবর নোবোয়া দশটি প্রদেশে ৬০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন এবং নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দেন। তিনি ঘোষণা করেছেন, বছরে ১ বিলিয়ন ডলার সঞ্চয়ের জন্য ডিজেল ভর্তুকি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।