Donald Trump (Photo Credit: Instagram)

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিংহাসন ফিরে পেয়ে গোটা দুনিয়াকে কার্যত নাচিয়ে ছাড়ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (President Trump)। চিরকালীন শত্রু রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়া থেকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে হোয়াইটহাউসে ডেকে প্রকাশ্যে অপমান, হু (WHO), ন্য়াটো (NATO) থেকে বেরিয়ে আসার হুমকি, ট্যারিফ (শুল্ক) থেকে সরকারী দফতর বন্ধ, কর্মী তাড়াও থেকে প্রতিবেশী দেশ দখলের ছক, আবার কখনও দেশের আদালতের নির্দেশ এড়িয়ে চলার। সবই করে চলেছেন।

ট্রাম্পের আমলে হোয়াইটহাউসে ঢুকে পড়েছে বিট কয়েন

ট্রাম্প আসার পর থেকে মার্কিন অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থা। তবে এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কিন্তু বিট কয়েন সহ নানা ক্রিপ্টোকারেন্সি-কে হোয়াইটহাউসে সরকারীভাবে প্রবেশ করিয়েছেন। এরই মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছেলে এরিক ট্রাম্প ও ডোনাল্ড জুনিয়র আমেরিকার বিটকয়েন মাইনিংয়ের ২০ শতাংশ শেয়ার কিনে ফিললেন।

বিট কয়েন মাইনিং কী

প্রতি চার বছর অন্তর বিটকয়েনের মাইনিংয়ের মাধ্যমে গোটা দেশে নতুন অর্থের বিটকয়েনের জন্ম হয়। বিটকয়েন মাইনিংয়ের সঙ্গে অনেকটা টাকা ছাপানোর মিল আছে। ফারাক হল, বিট কয়েন মাইনিং বিশেষ ধরনের শক্তিশালী কম্পিউটারের মাধ্যমে বিশেষ কিছু কোড-কম্বিনেশনের মাধ্যমে তৈরি হয়। এরপর সেই বিটকয়েনের মাধ্যমে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের লেনদনে হয়। চার বছর পর বিটকয়েনের মাইনিং হয়। ২০২৮ সালের মার্চে ফের হবে বিটকয়েন মাইনিং তবে বিটকয়েনে কোনও সরকারী নিয়ন্ত্রণ না থাকায়, এর বিরুদ্ধে কালো টাকা, দুর্নীতির অর্থ পাচারের অভিযোগ ওঠে। ট্রাম্পের দুই ছেলে বিটকয়েনের মাইনিংয়ের শেয়ার কেনায় এবার থেকে মার্কিন অর্থনীতি ক্রিপ্টো কারেন্সির দাপট দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ট্রাম্পের দেশে বিট কয়েনে হতে পারে রোজকার লেনদেন

আগামী দিনে বিটকয়েন সহ নানা ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে সেখানকার মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সরাসরি কিনতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে। ঠিক যেমনটা হয়ো এল সাভাদোরের মত দেশে। সেখানে ইউপিআইয়ের মতই সরসারি স্ক্যান করে ক্রেতারা বিটকয়েন সহ নানা ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে কেনাকেটা করেন। তবে আমেরিকায় তেমনটা হলে সেখানকার অর্থনীতির মত কু প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে। কারণ ক্রিপ্টো কারেন্সিতে কালো টাকার দাপটের আশঙ্কা থেকেই যায়।