President Calls President: Donald Trump, Vladimir Putin. (Photo Credits: X)

ইউক্রেনে সাধারণ মানুষদের ওপর একের পর এক ভয়াবহ হামলা নিয়ে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট পুতিনকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউক্রেন যুদ্ধে ঘুরিয়ে পুতিনের পাশে দাঁড়ানো ট্রাম্পের এবার যে রাশিয়ার ওপর মোহভঙ্গ হয়েছে, সেটা তাঁর কথাই পরিষ্কার। এদিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি 'ট্রুথ সোশ্যালে' (Truth Socail)-এ ট্রাম্প কড়া হুশিঁয়ারির সুরে লিখলেন,"ভ্লাদিমির পুতিন একটা জিনিস বুঝতে পারছেন না, আমি না থাকলে এতক্ষণে রাশিয়ার সঙ্গে অনেক খারাপ কিছু ঘটে যেত। সেটা ভয়ঙ্কর খারাপ হত। ও (পুতিন) আগুন নিয়ে খেলছে।"'বন্ধু' পুতিনকে ট্রাম্প মনে করিয়ে দিলেন, জো বাইডেন ক্ষমতায় থাকলে এতদিনে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বড় ক্ষতি হয়ে যেত। তিনিই ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে রক্ষা করেছেন। পুতিনের আগুন নিয়ে খেলার অভিযোগ করা ট্রাম্পের সোশ্যালি মিডিয়া সেই কথাটাই ঘুরিয়ে বলছে।

ইউক্রেনের ওপর ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া

দুই দেশের বন্দি প্রত্যপর্ণ চুক্তির মাঝে ইউক্রেনের ওপর রেকর্ড সংখ্যায় ড্রোন আক্রমণ করে সেখানকার বহু মানুষকে সাধারণ মানুষকে মেরে ফেলছে রাশিয়া। ক'দিন আগে ইউক্রেনে এক যাত্রী মিনিবাসে রুশ ঘাতক ড্রোনের আঘাতে মারা যান। এদিন রাশিয়ার ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের দুই বৃদ্ধা প্রাণ হারান।

পুতিনকে আক্রমণ ট্রাম্পের

 

ইউক্রেনকেই যুদ্ধের জন্য দায়ি করে, এবার ইউ-টার্নের পথে ট্রাম্প

জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ইউক্রেনের পুরোপুরি পাশে দাঁড়ানোয় চাপে ছিল রাশিয়া। কিন্তু ভোটে জিতে ট্রাম্প মার্কিন সিংহাসনে বসার পর ইউক্রেনের ওপর থেকে সাহায্য়ের হাত তুলে নিয়েছিলেন। এমনকি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কিকে হোয়াইটহাউসে ডেকে এনে চরম অপমাণ করে যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনকেই দায়ি করেছিলেন। পুতিনের সুরেই কথা বলে যুদ্ধবিরত ও ইউক্রেনের সঙ্গে বিরল খনিজ উত্তোলনের চুক্তি সারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে পুতিন সাড়া না দিয়ে উল্টে ইউক্রেনকে বারবার আক্রমণ করা চটেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফের যদি ট্রাম্পকে চটিয়ে পুতিন ইউক্রেন হামলা চালিয়ে যান, তাহলে রাশিয়ার সঙ্গে আমেরিকা সরাসরি যুদ্ধে যায় কি না তা নিয়ে হাল্কা জল্পনা শুরু হয়ে গেল। যদিও অনেকে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে বলছেন, বন্ধুর ওপর সাময়িক রাগ হলেও পরে রাশিয়ার সুরেই কথা বলবেন ট্রাম্প। ইউক্রেন যুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের রুশ বান্ধ নীতির অবস্থান বেশীরভাগ মার্কিনীরই সায় নেই, তা সাম্প্রতিক বেশ কিছু সমীক্ষায় উঠে এসেছে।