Trump-Putin Summit: চিন আর রাশিয়া যে সমান নয়, হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (President Donald Trump)। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) বহু প্রতীক্ষিত দ্বিতীয় বৈঠক শেষমেশ বাতিল হল। হোয়াইট হাউসের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে এ খবর। কূটনৈতিক অচলাবস্থা ও আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিঙেয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা দেখিয়ে বৈঠক সেরেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মনে করা হচ্ছিল এবার ভ্লাদামির পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা দেখিয়ে বৈঠক সারবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তেমনটাই চেয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এখন যে জায়গায় দাঁড়িয়ে তাতে ঝুঁকি নিল না হোয়াইটহাউস।
কী কারণে দূরত্ব বাড়ছে ট্রাম্প-পুতিনের
ইউক্রেন যুদ্ধ, তেল বিক্রি সহ নানা আন্তর্জাতিক ইস্যুতে আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে অচলাবস্থা ক্রমশ বাড়ছিল। ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়েছেন, "বারবার আলোচনা করেও কোনও ফল হচ্ছে না। তাই রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকটা সময় নষ্টের মতো মনে হচ্ছে।" ঠিক সেই হতাশা থেকেই বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত। গত আগস্টে আলাস্কায় মুখোমুখি হন ট্রাম্প ও পুতিন। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সেই বৈঠকেও তেমন ফল হয়নি। ওই বৈঠকের পরও রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক উপস্থিতি কমাতে প্রস্তুত হয়নি। ফলে দ্বিতীয় বৈঠকের ফল নিয়েও সংশয় ছিল কূটনৈতিক মহলে।
ট্রাম্পের বিদেশ নীতি নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে
ইউক্রেন প্রসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিষ্কার। রুশ আগ্রাসনে বন্ধে চাপ তৈরি চলবে ট্রাম্প প্রশাসন। সেই চাপের অংশ হিসেবেই সম্প্রতি রাশিয়ার তেল বাণিজ্যে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওয়াশিংটন। ইউরোপীয় দেশগুলি প্রথমে দ্বিতীয় বৈঠকের সম্ভাবনায় বিস্মিত হলেও, বৈঠক বাতিলে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেনি। ট্রাম্পের কূটনৈতিক স্টাইল নিয়ে ইউরোপ বরাবরই সতর্ক, এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। এদিকে, ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে আমেরিকার নজরদারি এবং সেখানে সিআইএ-কে গোপন অভিযানের অনুমতি। সব মিলিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের বিদেশনীতি এখন ক্রমেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে।