প্রতীকী ছবি (Photo Credits: ANI)

নিউইয়র্ক, ১৪ সেপ্টেম্বর: নভেল করোনাভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন চিনা ভাইরোলজিস্ট লি-মেং ইয়ান (Li-Meng Yan)। সেই তিনিই আরও একবার বন, কোভিড-১৯ ভাইরাসের উৎপত্তি ল্যাবরেটরিতে। যদিও প্রথমবারই লি-মেং ইয়ানের এই দাবি একযোগে অস্বীকার করেছিল বেজিং ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মার্কিন মুলুকের সংবাদ মাধ্যম ন্যাশনাল পালসকে নতুন সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “কোভিড-১৯ ভাইরাস গবেষণাগারেই তৈরি হয়েছে। চিনের সেনাবাহিনী এই ঝউশান বাট করোনাভাইরাস ZC45 ও ZXC21 তারাই এর মালিক। এই সম্পর্কিত আমার বৈজ্ঞানিক রিপোর্ট খুব শিগগির প্রকাশিত হবে।”

এর আগেও তাইওয়ানের এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই ভাইরোলজিস্ট বলেছিলেন, নভেল করোনাভাইরাস পিপলস লিবারেশন আর্মির তত্ত্বাবধানে চিনের মিলিটারি ফ্যাসিলিটিতেই তৈরি হয়েছে। গত জুলাইতে স্প্যানিশ ডেইলি এল মুন্ডোর সাক্ষাৎকারে ভাইরোলজিস্ট লি-মেং ইয়ান বলেছিলেন, নভেল করোনাভাইরাস যে চিনের উহানের মার্কেটেকে আবির্ভূত হয়নি তা প্রমাণ করতে তিনি অকাট্য তথ্যপ্রমাণ জড়ো করছেন। ব্রিটিশ ব্রডকাস্টার ITV-কে ওই ভাইরোলজিস্ট বলেছিলেন, এই ভাইরাস দেখতে একেবারেই ফিঙ্গারপ্রিন্টের মতো। যা সহজেই আপনি চিহ্নিত করতে পারবেন। আমি এই তথ্যপ্রমাণ ব্যবহার করেই বিশ্ববাসীকে বলতে চাই যে, কেন করোনাভাইরাসিনের গবেষণাগার থেকে এসেছে। এবং কেন একমাত্র তারই এই ভাইরাসটা তৈরি করল। আরও পড়ুন-Amit Shah Health Update: সংসদের অধিবেশনের আগে মেডিকেল চেক-আপের জন্যই ভর্তি অমিত শাহ, জানাল এইমস

নভেল নাভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে মুখ খোলায় দেশের সরকারে বিরাগভাজন হতে দেরি হয়নি। বিপদের আঁচ পেয়েই চলতি বছরের এপ্রিলে চিন ছেড়ে মার্কিন মুলুকে পালিয়ে আসেন ভাইরোলজিস্ট লি-মেং ইয়ান। ইতিমধ্যেই en.as.com- এর রিপোর্ট বলছে, ভাইরোলজিস্টের অভিযোগ, করোনা নিয়ে মুখ খোলায় তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে বেজিং। চিনের সরকার এই কাজের জন্য ক্যাম্পেনও শুরু করেছে। এদিকে করোনাভাইরাসের মোট সংখ্যা ২৮.৬ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গিয়েছে। জনপকিন্স ইউনিভার্সিটির রিপোর্ট বলছে, বিশ্বে মারণ রোগের মৃত্যু মিছিলে শামিল ৯ লাখ ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ।