বিউবনিক প্লেগ (Photo Credits: Pixabay)

জেনেভা, ৭ জুলাই: চিন থেকে শুরু হওয়া করোনা মহামারী (Corona Pandemic) নিয়ে এমনিতেই গোটা বিশ্ব আঙ্গুল তুলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) ওপর। সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে নিয়ে। মহামারী এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিশ্বজুড়ে। এরই মধ্যে চিনের বিউবনিক প্লেগ (Bubonic Pleague) মাথাচাড়া দেওয়ায় ফের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। তবে মঙ্গলবার WHO সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দেয়, বিউবনিক প্লেগের ওপর নজরদারি রাখা হচ্ছে। এটি মহামারীর আকার ধারণ করতে পারবে না।

WHO-র মতানুযায়ী, বিউবনিক প্লেগের জন্য এই পর্যায়ে প্রবল ঝুঁকিপূর্ণ বল ঘোষণা করা উচিত নয়। জানা গেছে, আক্রান্ত ২ জন ইঁদুর খেয়েছিলেন দিন কয়েক আগেই। গত মে মাসেই মঙ্গোলিয়া এলাকার বেশ কয়েকজনের শরীরে বিউবনিকের জীবাণু মেলে। রোগে ভুগে তাদের মৃত্যু হলে জানা যায়, দিন কয়েক আগেই পার্বত্য ইঁদুরের কাঁচা কিডনি খেয়েছে তারা।  আরও পড়ুন, করোনাভাইরাস সোয়াইন ফ্লু-র মধ্যেই চিনের মঙ্গোলিয়ায় বিউবনিক প্লেগের উপদ্রব, জারি সতর্কতা

চতুর্দশ শতকে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকায় যে প্লেগ মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছিল সেটা বিউবনিক প্লেগ ছিল বলেই মনে করা হয়। মৃত্যু হয়েছিল প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের। এই প্লেগকে ‘ব্ল্যাক ডেথ’ বলা হয়। হু-র বিশেষজ্ঞরা বলেন, সংক্রমণের চিকিৎসা সঠিক সময় শুরু না হলে রোগীর মৃত্যুও ঘটতে পারে। সংক্রমণ যদি বেশিমাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে তাহলে খিঁচুনি, পেশীর সংকোচন এমনকি রক্তবমিও (Hematemesis) হতে পারে। রোগ কতটা ছড়িয়েছে তার উপর নির্ভর করে এক সপ্তাহ থেকে দশদিনের মধ্যে প্লেগ আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হতে পারে। এই প্লেগ প্রতিরোধের কোনও কার্যকরী টিকা নেই। চিকিৎসার শুরুতে রোগীকে স্ট্রেপটোমাইসিন, জেনটামাইসিন, ডক্সিসাইক্লিন জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়।

দু’জনের সংস্পর্শে আসা ১৪৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যেকেরই লালারসের নমুনা টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে।