লন্ডন, ১ ফেব্রুয়ারি: শুক্রবার মাঝরাতে বদলে গেল স্টেটাস (Status)। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (European Union) বা ইইউইয়ের সদস্য পদ (EU Membership Status) থেকে নিজের নাম কাটাল ব্রিটেন (Britain)। এখন থেকে খাতায়-কলমে ‘সিঙ্গল’ ইউনাইটেড কিংডম (United Kingdom)। গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হয় ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া (Brexit Process)। তিন বছর আগে ব্রিটেনের অর্ধেকের বেশি মানুষ যে সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছিলেন, সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করে ইইউ ছেড়ে বেরিয়ে আসে ব্রিটেন।
১৯৭৩ সালে ইইউ-র হাত ধরেছিল ব্রিটেন। একসঙ্গে পথ চলার শুরু সেই থেকে। ব্রিটেন অবশ্য যৌথ পরিবারের সেই সদস্যের মতো বরাবর ইইউ পরিবারে থেকেও নিউক্লিয়ার পরিবারের মতো আচরণ করে গিয়েছে। অবশেষে ২০১৬ সালে গণভোটের (Mass Vote) মাধ্যমে ইইউ-র সদস্যপদ ত্যাগের সিদ্ধান্ত। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভোটে যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল, তা বাস্তবায়নের দিন ব্রিটেনের সব মানুষ মোটেই খুশি নন। ইংল্যান্ড, ওয়েলস যেখানে ব্রেক্সিটের সমর্থনে ভোট দিয়েছে, সেখানে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড (Northern Ireland) এবং স্কটল্যান্ডের (Scotland) ভোট পড়েছিল ইইউ-র সদস্য থেকে যাওয়ার পক্ষেই। ফলে, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড আর স্কটল্যান্ডে উচ্ছ্বাসের চিহ্নমাত্র নেই। এডিনবুর্গে স্কটিশ পার্লামেন্টের বাইরে ইইউ-র পতাকা না নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে এটাই তাদের প্রতিবাদ। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের অবশ্য তাতে কোনও হেলদোল নেই। মাঝরাতে ব্রিটেনবাসীর উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘এটা শেষ নয়, শুরু।’ আজ শনিবার ব্রেক্সিট পরবর্তী ব্রিটেনের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক সান্ডারল্যান্ডে (Sanderland) করবেন তিনি। ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন সান্ডারল্যান্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ। কোনও প্রতিবাদ-বিক্ষোভের সম্ভাবনা নেই দেখেই বরিস এই স্থান বেছেছেন বলে রাজনীতিকদের একাংশের দাবি। আনুষ্ঠানিক ব্রেক্সিটের উদ্যাপনে কোনও আড়ম্বরও করছেন না বরিস। সরকারি ভবনে লাল, সাদা, নীল আলোর কারিকুরি আর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের বাসভবনে নতুন কাউন্টডাউন ক্লক ব্রিটেনের নয়া প্রহর গোনা শুরু। আরও পড়ুন: Mask For Coronavirus: মিলছে না করোনাভাইরাসের উপযোগী মাস্ক, কমলালেবুর খোসা, ব্রা, প্লাস্টিকের জারকেই মুখোশ করে মুখে জড়িয়ে ঘুরছেন চিনারা
শুধু তাই নয়, ইইউ-র পতাকার নীল, হলুদ রঙের আলোয় সাজবে স্কটল্যান্ডের একাধিক সরকারি ভবন (Government House)। স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার (First Minister) নিকোলা স্টারজিওন জানান, এ বার পৃথক রাষ্ট্রের মর্যাদা পেতে স্কটল্যান্ড ব্রিটেনের উপর চাপসৃষ্টি করবে।