জাইর বলসোনারো (Photo Credits: Getty Images)

ব্রাজিল, ৩০ জুলাই: কোভিড জর্জরিত বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। সংক্রমণের কারণে চারমাস ধরে বিদেশিদের প্রবেশ ব্যান ছিল ব্রাজিলে। দীর্ঘ চারমাস পর সেই ব্যান তুলে নিচ্ছে ব্রাজিল সরকার। এমন একটা সময় বিদেশিদের ব্রাজিলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে যখন মারণ রোগ করোনাভাইরাসের নতুন হটস্পট হিসেবে প্রতিদিন সেখানে হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। তবে বিমানে চড়ে ব্রাজিলে আসা এই বিদেশি পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিমা থাকতে হবে। এবং সেই হেলথ ইনসিওরেন্স ওই ব্যক্তির ভ্রমণ সংক্রান্ত অসুস্থতার বিষয়টিও কভার করবে। এমনিতেই বলসোনারো (Jair Bolsonaro) সরকারের প্রতি সেদেশের মানুষের ক্ষোভের শেষ নেই। প্রেসিডেন্ট নিজেই ঠিকমতো দূরত্ববিধি মানেন না, এমন অভিযোগ রয়েছে।

বিশ্বের সবথেকে করোনা ত্রস্ত দেশটি হল আমেরিকা। ঠিক তার পরেই রয়েছে ব্রাজিল। সেখানে করোনা আক্রান্তের মৃত্যু ঘটছে মুড়ি মুড়কির মতো। সবমিলিয়ে ব্রাজিলে মোট করোনা আক্রান্ত ২.৫ মিলিয়ন মানুষ। ইতিমধ্যেই মৃত্যু মিছিলে মিছিলে শামিল হয়েছেন ৯০ হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯ হাজার ৭৪ জন। একদিনে করোনায় মৃত ১ হাজার ৫৯৫ জন। আরও পড়ুন-Somen Mitra Passes Away: বাংলার রাজনৈতিক মঞ্চে ইন্দ্রপতন, প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র

চলতি মাসের গোড়াতেই করোনায় আক্রান্ত হন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারা। সিএনএন-এ এক লাইব সাক্ষাৎকারে নিজের কোভিড পজিটিভ হওয়ার খবর প্রকাস করেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট। বছর ৬৫-র এই প্রেসিডেন্ট করোনাকে হোফেলা করেছেন প্রতিনিয়ত। দেশের মানুষকে বিপদের দিকে ঠেলে দিয়েছে তাঁর সিদ্ধান্ত এনিয়ে প্রতিদিন সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন বলসোনারো। তিনি বার বার একটি কথাতেই জোর দিয়েছিলেন যে করোনাকে প্রতিহত করতে কোয়ারেন্টাইন ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটা জরুরি নয়। সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন জনসভায় অংশ নিয়ে প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো নিজেও করোনা সম্পর্কিত সচেতনতা বিধি ভেঙেছেন। পর পর তিনবার তার করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে। মাঝে এমু পাখির কামড়ও খেয়েছেন বলসোনারো।