নাবালিকা ধর্ষণ। (প্রতীকী ছবি/File Image)

ঢাকা, ৮ জুলাইস্কুলের ছাত্রীদের দিনের পর দিন ধর্ষণের পর ধরা পড়ে গেল ধর্ষক শিক্ষক (Rapist teacher)। তারপর জুটল গণপিটুনি, শেষপর্যন্ত মারধরের পর ধর্ষক শিক্ষককে ব়্যাবের হাতে তুলে দিল উত্তেজিত জনতা। ধৃতের নাম আরিফুল ইসলাম(Ariful Islam), সে একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষর। তার বিরুদ্ধে ওই স্কুলের ২০জন ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার নারায়ণগঞ্জের (Dhaka Narayanganj) সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার মিজিমিজি অক্সফোর্ড স্কুলের। অভিযোগ, প্রথম কুপ্রস্তাব দেওয়ার পর প্রায় জোর করেই পড়ুয়াদের ধর্ষণ করত সে। তারপর সেই ভিডিও তুলে রেখে নির্যাতিতাদের ব্ল্যাকমেলিং চলত। আরও পড়ুন-সাংঘাতিক! ট্রেনারকে মেরে ফেলে দেহ নিয়ে হুল্লোড় করল সার্কাসের চার বাঘ

জানা গিয়েছে, ধর্ষণের ছবি প্রকাশের ভয় দেখিয়ে বারবার ধর্ষণ করা হত ছাত্রীদের। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির মধ্যে থাকা যে কোনও পড়ুয়াকেই আরিফুল টার্গেট করত। ২০জন ছাত্রী তার যৌন লালসার শিকার হয়েছে। সম্প্রতি ক্লাস নাইনের এক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিল, তাতেই পর্দা ফাঁস। ওই ছাত্রী বাড়ি এসে বাবা-মায়ের কাছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতেই খেপে যায় এলাকার বাসিন্দারা। গত বৃহস্পতিবার আরিফুল ইসলামকে পাকড়াও করে শুরু হয় মারধর। তারপর তার মোবাইল কেড়ে তা চেক করতে গিয়েই সবার চোখ কপালে ওঠে, ছাত্রীদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবিতে ভর্তি মোবাইল। স্কুলে রাখা ল্যাপটপটিও চেক করতেই দেখা যায় ধর্ষণের ফুটেজ। এরপর শুরু হয় গণপিটুনি। মারধরের পর ধর্ষক শিক্ষককে ব়্যাবের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন ছাত্রীদের অভিভাবকরা। যদি স্কুলেই ছাত্রীরা তাদের শিক্ষকদের কাছে নিরাপদ না থাকে তাহলে থাকবে কোথায়। গোটা ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের দিকেও অভিযোগের আঙুল উঠেছে, দিনের পর দিন স্কুলের মধ্যে এমন নারকীয় ঘটনা ঘটেছে অথচ শিক্ষকদের কেউ দেখতে পাননি, এটা অভিভাবকরা মানেত নারাজ। আরিফুল ইসলামের অপরাধকর্মে অন্যদের সায় ছিলই বলে মনে করা হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে,অন্য স্কুলের ছাত্রীরাও ধৃত শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার হয়েছে। এই ঘটনায় গোটা নারায়ণগঞ্জজুড়েই চাঞ্ল্য ছড়িয়েছে।