তিস্তা নদী (Photo Credits: Wikimedia commons)

ঢাকা: সম্প্রতি দার্জিলিংয়ের পাহাড়ে (Darjeeling hills) তিনটি হাইড্রোপাওয়ার প্রজেক্ট (hydro power projects) এবং জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) ও কোচবিহার (Cooch Behar) জেলায় সেচের (irrigation purposes) সুবিধার জন্য তিস্তার নদীর (Teesta River) জল দুটি খাল (canals) কেটে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal Government)। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে তারা বিস্তারিত প্রজেক্ট রিপোর্ট (proposed projects) পাঠিয়েছে বলেও প্রকাশ পেয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে (Indian media report)। তারপরই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে ঢাকা (Dhaka)। এই বিষয়ে দিল্লিকে (Delhi) চিঠি পাঠিয়ে এসম্পর্কে জানতে চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানানো হয়েছে বাংলাদেশ বিদেশমন্ত্রক (Bangladesh foreign ministry) সূত্রে। দুই দেশের মধ্যে থাকা নদীর জল সমঝোতার বিষয়টি স্মরণ রাখার বিষয়টিও মনে করিয়ে দিয়েছে তারা। পাশাপাশি দিল্লির কাছ থেকে সাড়া পেলে বহু প্রতীক্ষিত তিস্তা জল চুক্তি (Teesta water treaty) সংক্রান্ত সমস্যাগুলিরও সমাধান তারা খুব তাড়াতাড়ি করতে ফেলতে চায় বলে জানিয়েছে।

এপ্রসঙ্গে বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র সহেলি সাবরিন (Bangladesh’s foreign ministry spokesperson Seheli Sabrin) সাংবাদিক বৈঠকে জানান, জয়েন্ট রিভার কমিশন (Joint River Commission) ও বাংলাদেশের জলসম্পদ মন্ত্রকের (Bangladesh Water Resource Ministry) সঙ্গে আলোচনা করে এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করা হবে। তারপর এই বিষয়ে ভারতের কাছে জানতে চাওয়া হবে। ঢাকা পুরো বিষয়টির দিকে নজর রাখছে ও বিশ্লেষণ করছে। পাশাপাশি প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য বিদেশমন্ত্রক জয়েন্ট রিভার কমিশন ও জলসম্পদ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।

দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা নদীর জল চুক্তি নিয়ে কিছু সমস্যার সমাধান খুঁজচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। এই বিষয়ে খুব তাড়াতাড়ি সমাধানের রাস্তা খুঁজে পাওয়া যাবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। বলেন, আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খুবই ভালো তাই আমরা যে কোনও সমস্যার সমাধান নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনা করেই মিটিয়ে নেব। এই বিষয়ে আমাদের সাধ্যমতো প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। আগামী মাসে নিউইয়র্কে (New York) হতে চলা রাষ্ট্রসংঘের জল সম্মেলনেও (UN Water Conference) তিস্তা চুক্তি সইয়ের বিষয়ে আলোচনা হবে।