ঢাকা, ১৮ নভেম্বর: শ্রদ্ধা ওয়ালকরের খুনের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। আফতাব পুনাওয়ালা যেভাবে শ্রদ্ধাকে খুন করে তারপর দেহাংশ খণ্ডিত করে, তা জানার পর শিউরে উঠছে গোটা দেশ। শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া এবার বাংলাদেশেও। যেখানে হিন্দু প্রেমিকা কবিতা রানিকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর তাঁর দেহাংশ খণ্ডিত করে নর্দমায় ভাসিয়ে দেয় আবু বকর নামে এক যুবক। বাংলাদেশের খুলনার ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। রিপোর্টে প্রকাশ, গত ৬ নভম্বর আবু বকরকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না। সে কোথায় গিয়েছে, তা কেউ জানত না। এরপর আবু যে বাড়িতে ভাড়া থাকত, সেখানে হানা দেয় পুলিশ। বাইরে থেকে তালা দেওয়া থাকায়, আবু বকরের ঘরের দরজা ভেঙে সেখানে পুলিশ প্রবেশ করে। এরপর ওই ঘরের মধ্যে রাখা একটি বাক্স থেকে এক মহিলার মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। যা দেখে অবাক হয়ে যায় সেখানে হাজির প্রত্যেকে।
শুধু তাই নয়, যে বাক্সে মহিলার মুণ্ডহীন দেহ ছিল, তার পাশে রাখা একটি প্লাস্টিকে মোড়ানো ছিল মৃত কবিতা রানির কাটা মাথা। মৃতের মুখ দেখে প্রকাশ্যে আসে, আবু যাঁকে নৃশংভাবে খুন করেছে, তাঁর নাম কবিতা রানি। কালীপদ বাছাড়ের মেয়ে কবিতাকে প্রথম খুন করে আবু, তারপর ধড় থেকে পৃথক করে দেয় তাঁর মুণ্ড।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৪ বছর ধরে স্বপ্না নামে এক মহিলার সঙ্গে খুলনার গোবরচাকা এলাকায় থাকছিল আবু। গত ৪ বছর ধরে স্বপ্নার সঙ্গে একত্রবাস করলেও, সম্প্রতি কবিতার সঙ্গে তার সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর কবিতার সঙ্গে উদ্দাম যৌনতার পর আবু বকরের মনোমালিন্য হয়। বিবাদের পরই কবিতাকে নৃশংসভাবে খুন করে আবু।
স্বপ্না যখন বাড়িতে ছিলেন না, সেই সময় বাড়িতে কবিতাকে নিয়ে আসে আবু। ঘরের মধ্যে কবিতার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার পর আবুর সঙ্গে নয়া প্রেমিকার ঝগড়াঝাটি শুরু হলে, তাঁকে খুন করে আবু। খুনের পর কবিতার দেহ থেকে মুণ্ডু পৃথক করে আবু। শুধু তাই নয়, কবিতাকে খুনের পর তাঁর হাত কেটে আবু নর্দমায় ভাসিয়ে দেয় বলেও পুলিশি তথ্যে উঠে আসে।
বাংলাদেশ পুলিশের কথায়, কবিতাকে খুনের পর, আবু ঢাকার উদ্দেসে রওনা দেয়। স্বপ্না ঢাকায় থাকাকালীন তাঁর কাছে যেতে শুরু করে আবু। কিন্তু রূপসা নদী পেরনোর পরই অভিযুক্ত আবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।