ইসলামাবাদ, ১৮ অগাস্ট: সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়া, ভূ স্বর্গকে দু ভাগে ভাগ করার নয়া দিল্লির সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে সমঝোতা-থর এক্সপ্রেস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু তাতে দু দেশের মানুষের বেশ অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। তাই ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, দু দেশের মধ্যে চলাচলা করা সমঝোতা এক্সপ্রেস-থর এক্সপ্রেস ফের শুরু করার। অন্তত এমনটাই দাবি পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের।
কিন্তু ভারতের দাবি মেনে নিলে জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে নিজেদের ক্ষোভ দেখানো কমে যেতে পারার আশঙ্কায় ভারতের অনুরোধ ফিরিয়ে সমঝোতা-থর এক্সপ্রেস চলাচলের ওপর স্থগিতাদেশ জারি রাখল পাকিস্তান। গত ৮ অগাস্ট, রাত ১১টা ২০ মিনিট নাগাদদিল্লি স্টেশন থেকে সমঝোতা এক্সপ্রেসের ভারতীয় রেকটি ৩ পাক যাত্রী-সহ ২৭ জনকে নিয়ে আট্টারির উদ্দেশে রওনা দেয়। কিন্তু যাত্রার মাঝপথে জানানো হয়, সমঝোতা এক্সপ্রেস পাকিস্তানে ঢোকার অনুমতি নেই। প্রায় তিন ঘণ্টা পরে, সীমান্ত থেকে ট্রেনটি দিল্লির উদ্দেশ্যে চালিয়ে নিয়ে আসেন ভারতের রেল কর্মীরা। আরও পড়ুন-'জেএনইউ' পাল্টে নরেন্দ্র মোদি-র নামে রাখা হোক, বিজেপি সাংসদ হংস রাজ হংসের দাবিতে বিতর্ক
পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমে দ্য এক্সপ্রেস ট্রাইবুনে প্রকাশ, ভারতীয় রেলের কর্তারা পাকিস্তানের রেলের কাছে আবেদন করেছিলেন সমঝোতা এক্সপ্রেস এবং থর এক্সপ্রেস ফের শুরু করার। সমঝোতা এক্সপ্রেস চলে পঞ্জাবের আট্টারি থেকে লাহোরের মধ্যে। আর থর এক্সপ্রেস করাচি থেকে রাজস্থানের মুনাবাওয়ের মধ্যে চলাচল করে। কিন্তু পাক রেল ভারতের সেই অনুরোধ ফিরিয়ে জানিয়ে দেয়, অনির্দিষ্টকালের জন্য সমঝোতা-থর এক্সপ্রেস পরিষেবা বন্ধ রাখছে পাকিস্তান। কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে কড়া বার্তা দিতেই এই কাজ করেছে ইমরান খানের সরকার। যতদিন না দুই দেশের মধ্যে তিক্ততা মেটে, ততদিন ট্রেন চালানো অর্থহীন বলে জানায় পাকিস্তান।