Imran Khan Blooper: ‘এক ইঞ্জেকশনেই নার্সরা হুর হয়ে গেল’, ফের বেফাঁস মন্তব্য ইমরান খানের(দেখুন ভিডিও)
ইমরান খান(Photo Credit: IANS)

করাচি, ২৮ জানুয়ারি: ‘হাসপাতালের বেডে শুয়ে নার্সদের হুর মনে হয়েছিল।’ করাচির শওকত খানুম হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইতিমধ্যেই পাক প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। এমনিতেই ইসলাম ধর্মে হুর শব্দটির উপস্থিতি রয়েছে। মহিলা ফেরেশতাদের হুর বলা হয়। জান্নাতের হুরকে তিনি শওকত খানুম হাসাপাতালে নামিয়ে এনেছেন। সেখানকার নার্সদের তিনি হুর হিসেবেই দেখেছেন। একবার শিরদাঁড়ার আঘাত নিয়ে এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন তিনি। সেই সময় নিদারণ যন্ত্রণায় তাঁর জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। হাসপাতালের ডাক্তারের ইঞ্জেকশনে তিনি যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পান। তখনই নার্সদের তাঁর হুর মনে হয়েছিল।

এদিনের বক্তৃতায় তিনি বলেন, “আমি যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়েছিলাম। ঠিক জানি না ডাক্তর অসীম কি ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন। এক ইঞ্জেকশনেই আমরা যন্ত্রণাতুর পৃথিবীটা বদলে যায়। আমি দেখি নার্সরা হুর হয়ে গিয়েছেন। আমার ব্যথাও কোথায় গায়েব হয়ে গিয়েছে। মনে আছে হাসপাতাল চত্বরে টেলিভিশনকে সাক্ষাৎকারও দিয়েছিলাম। তবে কি সেদিন বলেছিলাম তা আজ আর মনে নেই।” তবে এই প্রথম নয় আগেও বেফাঁস মন্তব্য করে খবর হয়েছেন ইমরান খান। গত বছর এপ্রিলেই ইরানে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জার্মানি ফ্রান্সের সীমান্ত সম্পর্ক ওঠে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই দুই দেশ কীভাবে তাদের সীমান্ত সম্পর্কের উন্নতি করেছে সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আচমকাই জাপান জার্মান সিমান্তে সুইচ করে যান পাক প্রধানমন্ত্রী। ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত জার্মানি সেখানে জাপান এশিয়া মহাদেশের একটা অংশ। এই দুই দেশের সীমান্ত মেলবন্ধন কীকরে ঘটালেন ইমরান খান তানিয়ে কম কটাক্ষ হয়নি আন্তর্জাতিক মহলে। আরও পড়ুন-Johnson & Johnson Chief Executive Alex Gorsky: বেবি পাউডারে ক্ষতিকারক অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতি, এবার প্রশ্নের মুখের জনসন অ্যান্ড জনসনের সিইও অ্যালেক্স গোরস্কি

গত সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারতকে চাপে ফেলতে তৎপর ছিলেন ইমরান খান। তবে তিনি যে বেফাঁস মন্তব্যে ওস্তাত তা ভুলেই গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কাশ্মীর সমস্যার জন্য দায়ী করে মুখ খুলেও শেষে প্রেসিডেন্ট মোদি হিসেবে আখ্যায়িত করে নিজেই হাসির খোরাক হয়ে যান।