প্রতীকী ছবি (Photo Credits: IANS)

A rape offense is reported every hour in London: ক্রমেই মহিলাদের কাছে আতঙ্কের নগরী হয়ে উঠছে লন্ডন। বিশ্বের স্বপ্নের শহরের তালিকা করলে অনেকেই যে লন্ডনের নাম রাখেন, গ্রেট ব্রিটেনের সেই স্বপ্ন নগরী যেন ক্রমশ ধর্ষণের রাজধানী হয়ে উঠছে। ব্রিটেনের সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় চলা বিবিসি নিউজের সাম্প্রতিক রিপোর্টেই বলছে এমন কথা। ২০২৩ সালে লন্ডনে মোট ৮ হাজার ৮০০টি নথিভুক্ত ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। মেট্রোপলিটন পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। হিসেব করে দেখা যাচ্ছে প্রতিদিন লন্ডনে গড়ে ২৪টি করে ধর্ষণ হয়েছে। মানে সেটি ঘণ্টায় একটি। ২০২২ সালের তুলনায় লন্ডনের ধর্ষণের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ঘণ্টায় একটি করেতে উঠে গিয়েছে। ধর্ষণের পাশাপাশি লন্ডনে মহিলাদের ওপর যৌন অপরাধ, যৌন নির্যাতনের ঘটনাও অনেকটা বেড়ে গিয়েছে।

লন্ডন পুলিশের রিপোর্টে প্রকাশ গত বছর ইংল্যান্ডের রাজধানীতে মোট ১১ হাজারেরও বেশী যৌন অপরাধ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। আরও আতঙ্কের ব্যাপার হল. যৌন নির্যাতন, যৌন হেনস্থার বেশীরভাগ কাণ্ডই ঘটেছে ১৮ বছরের কম বয়েসের মেয়েদের সঙ্গে। লন্ডনে যৌন নির্যাতন, ধর্ষণের রিপোর্ট করা মহিলাদের ৪ জনের মধ্যে একজনেরই বয়স ১৮-র কম। আরও পড়ুন-বাংলাদেশ বেতারে পুনরায় উর্দু সম্প্রচার!

এখানেই শেষ নয়, ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তকে শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রেও লন্ডন পুলিশের ব্যর্থতা সাফ ধরা পড়ছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর লন্ডন ও তাঁর পার্শ্ববর্তী এলাকা মিলিয়ে ১০ হাজার ৯৯টি নথিভুক্ত ধর্ষণের অভিযোগ নথিভুক্ত হলেও, সেখানে চার্জগঠনের পর আদালতে মামলা হয়েছে মাত্র ১৪১৯টি-তে। যৌন নির্যাতন, যৌন হেনস্থা মামলায় শেষ পর্যন্ত শাস্তিও শতাংশের বিচারে বেশ কম। সব মিলিয়ে লন্ডনে ধর্ষণের মামলায় বিচার বাণী নিভৃতে কাঁদে। অন্তত BBC নিউজের সাম্প্রতিক রিপোর্ট তেমনই বলছে।

আতঙ্কের আরও একটা ব্যাপার হল টেমস নদীর তীরের ঝাঁ চকচকে ঐতিহ্য, সাবেকিয়ানা আর আধুনিকতার মেলবন্ধনের এই শহরে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। লন্ডন পুলিশের হিসেব বলছে, গত বছর মানে ২০২৩ সালে লন্ডনে ৪ হাজার ৩০০ জন শিশুর যৌন নির্যাতন, যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটেছে। লন্ডনে ধর্ষণের পর পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বিচারের বলে হেনস্থা হতে হচ্ছে, এমন বেশ কিছু অভিযোগ বারবার সেখানকার সংবাদমাধ্যমে উঠে আসছে। ধর্ষণকে সামাজিক ব্যাধি ঘোষণা করে সরকারকে বেশ কিছু জরুরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তুলেছে স্থানীয় বেশ কিছু সংগঠন।